প্রথম দুদিন নগরে বাইরের চামড়া ঢুকতে দেবে না চসিক
নগরের সব চামড়া বিক্রি হলে ‘পরিত্যক্ত’ চামড়ার বর্জ্য তৈরি হবে না বলে মনে করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। শহরের বাইরের চামড়া ‘প্রবেশরোধ’ করে নগরের কোরবানিদাতাদের চামড়া বিক্রি নিশ্চিতও করতে চায় সংস্থাটি। এভাবে ‘পরিত্যক্ত’ চামড়ার বর্জ্য এড়িয়ে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে কোরবানির প্রথম দুদিন শহরের বাইরের চামড়া ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সংস্থাটির সমন্বয় সভায়।
সোমবার (২৭ মে) চসিক কার্যালয়ে সমন্বয় সভায় সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে পাশ্ববর্তী এলাকার কোরবানির পশুর চামড়া প্রবেশ রোধ করতে পারলে শহরের কোরবানিদাতারা ভাল দামে চামড়া বিক্রি করতে পারবেন, ফলে সব চামড়া বিক্রি হয়ে গেলে নগরীতে পরিত্যক্ত চামড়ার কারণে বর্জ্য তৈরি হয়ে মানুষ কষ্ট পাবেনা। এজন্য কোরবানির দিন এবং কোরবানির পরের দুই দিন নগরের বাইরের চামড়া যাতে প্রবেশ না করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
চসিকের বর্জ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নগরের বাহিরের চামড়া নগরে প্রবেশ করিয়ে চামড়ার দাম কমানোর অপকৌশল অবলম্বন করে। এভাবে দাম পড়ে যাওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত দেখা যায় অনেক চামড়া অবিক্রিত রয়ে যায়। এই অবিক্রিত চামড়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে মানুষ কষ্ট পায়। এই অপচর্চা ঠেকাতে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম মেট্রেপলিটন পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী বলেন, কোরবনির দিন নগরকে দ্রুততম সময়ে পরিচ্ছন্ন করতে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের পাশাপাশি কর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে যাতে কোরবানির বর্জ্য বা চামড়া পরিবেশের ক্ষতি না করতে পারে।
সভায় চসিক সচিব আশরাফুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি নোবেল চাকমা, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের এডিএলও ডা.সাজিয়া আফরিন, চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, চামড়া সমিতির সভাপতি মো. মুসলিমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন ।