প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে
বঙ্গবন্ধু টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনোয়ারার কেইপিজেড মাঠের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ।
জনসভা সফল করার লক্ষ্যে দারুল ফজল মার্কেটে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের কার্যালয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ইউনিট কমান্ডের প্রাক-প্রস্তুতি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, শনিবার (২৮ অক্টোবর) সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আনোয়ারা কেইপিজেড মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধারাও এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে পাকিস্তানি রাজাকার-আলবদরকে পরাজিত করার মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করেছি। সে দিন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চট্টগ্রাম থেকে মহান স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। ছয় দফা আন্দোলনের ডাকও চট্টগ্রাম থেকে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, এদেশে পাকিস্তানি রাজাকার বাহিনীর দোসর জামায়াত-শিবিরের কোনো স্থান নেই। তারা কোথাও সভা-সমাবেশ করলে কঠোর হস্তে প্রতিরোধ করতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগর ইউনিট কমান্ডের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত প্রাক-প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), সহকারী কমান্ডার আবুল কাশেম, সহকারী কমান্ডার আবদুল গণি, জেলার সহকারী কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক, ডেপুটি কমান্ডার মো. নূর উদ্দিন, চান্দগাঁও কমান্ডার কুতুব উদ্দিন, কোতোয়ালী কমান্ডার সৌরিন্দ্রনাথ সেন, পতেঙ্গা কমান্ডার জাকির হোসেন, বাকলিয়া কমান্ডার আলী হোসেন, খুলশী কমান্ডার মো. ইউসুফ, পাঁচলাইশ কমান্ডার আহমেদ মিয়া, সদরঘাট কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, ডবলমুরিংয়ের সমন্বয়কারী আবদুল লতিফ, হালিশহরের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল আহমেদ, মো. নুরুল আমিন, সৈয়দ আহমদ, জামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হায়দার, রেজাউল করিম, দুলাল কান্তি রায়, বাবুল দত্ত, শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাহেদ মুরাদ সাকু, কাজী রাজিশ ইমরান, কামরুল হুদা পাভেল, রিপন চৌধুরী, মাঈনুল আলম সৌরভ, মনির আহমদ বিজয় প্রমুখ।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগর ইউনিট কমান্ড, আওতাধীন থানা কমান্ড, প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহানগর শাখার নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।