জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনাবদ্য সাফল্য প্রশ্নে যা বললেন মার্কিন মুখপাত্র

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিং চলাকালে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে উঠে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অনাবদ্য সাফল্য ও ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রসঙ্গ।সেই সঙ্গে সরকারের উন্নয়ন বানচালে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সহিংস আন্দোলন ও ভাঙচুরের ঘটনা।স্থানীয় সময় বুধবার (১ নভেম্বর) ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের মধ্যকার আন্তর্জাতিক ট্রেনটি বিএনপির সহিংস কর্মীদের হিংসাত্মক হামলার শিকার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্য এবং চরমপন্থি সংগঠনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে এগুচ্ছে। হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি সেখানে কোনও নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে শেখ হাসিনাকে অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন করতে সহায়তা করবে? আপনি কি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সহিংসতা বন্ধ করে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে আহ্বান জানাবেন?

উত্তরে ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীসহ সবার দায়িত্ব রয়েছে।

এর আগে ওয়াশিংটনের ওই ব্রিফিংয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত এক উপদেষ্টার প্রসঙ্গও উঠে। তবে সেই ‘উপদেষ্টার’ বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি দেশটি।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাইডেনের কথিত এক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশে বিরোধীদের আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, আমার দুটি প্রশ্ন আছে। গত ২৮ অক্টোবর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারা মিয়া আরেফি নামে এক আমেরিকান নাগরিককে তাদের অফিসে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা বলে দাবি করা হয় এবং তিনি নিজেও ক্যামেরাতে দাবি করেন, তিনি প্রতিদিন (বাইডেনের সঙ্গে) ১০ থেকে ২০ বার টেক্সট মেসেজিং করেন। কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস মিয়া আরেফির সেই দাবি অস্বীকার করেছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে– বিএনপি নেতাদের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড মার্কিন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। মিয়া আরেফি সাহেব এবং বিএনপি নেতৃত্বের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আপনারা কি কোনও ব্যবস্থা নেবেন?

তবে এই বিষয়ে আলাদা করে কোনও মন্তব্য নেই বলে জানান ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, (ঢাকার) মার্কিন দূতাবাস এই বিষয়ে যা বলেছে তা পুনর্ব্যক্ত করা ছাড়া এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমার আলাদা কোনও মন্তব্য নেই। তিনি (মিয়া আরেফি) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d