বিনোদন

প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাধা মানে না

প্রিন্স মামুন বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে যাবিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ শাহজাহান আসামি প্রিন্স মামুনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে একথা জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলার প্রাথমিক তদন্তকালে আসামি ঘটনার সাথথে জড়িত আছে মর্মে যথেষ্ঠ তথ্য প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিধি মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করিয়া কুমিল্লা জেলার অর্ন্তগত দাউদকান্দি মডেল থানা এলাকা ১১ জুন রাত ১ টা ১৫ মিনিটের দিকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় , সে বিভিন্ন প্রকার টিকটক ভিডিও তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যা দেখে যুব সমাজ অশালীন ও অশোভন আচরণের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার এই অল্প বয়সে কে বা কারা তাকে এ সকল অপকর্ম করতে সহায়তা করতেছে তার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

রিমান্ড শুনানিকালে প্রিন্স মামুনকে এজলাসে তোলা হন। এদিন লায়লাও আদালতে হাজির হন।

শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনের কারণ জানতে চান। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি বাদীর সাথে এক সাথে বসবাস করেছে কি না তা জানার জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন।

প্রিন্স মামুনের পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলা। আসামি একজন। আগেই জানতে পারতেন। ধরে এসে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বাদীর বয়স ৪৮ বছর। আর আসামির বয়স ২০। যদিও এজাহারে বলা হচ্ছে ২৫ বছর। ৪৮ বছরের মহিলা বলতেছেন তাকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছে।

তিনি বলেন, দুই দিন আগে মারধরের এক মামলায় প্রিন্স মামুন জামিন পান। জামিন নেওয়ায় কাল হয়েছে। এরপরই তাকে আটকাতে ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ আগের মামলায় এধরনের কোনো ঘটনার কথা উল্লেখই করা হয়নি। ফলন কাহিনী। রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। আর মামলার বিষয়ে আগে জানলে জামিন নিতো। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থণা করছি।

বাদীপক্ষ এর বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স কোনো বাঁধা মানে না। আসামি এরকম আর কতজন ভিকটিমকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে জানার জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থণা করেন।

তখন বিচারক বলেন, তারা দুইজন শত শত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন। অ্যাভিডেন্স আছে। তখন বিচারক প্রিন্স মামুনের কাছে জানতে চান, আপনারা এক সাথে থেকেছেন? তখন মামুন বলেন, হ্যা।

তখন বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, এক সাথে থেকেছেন কি না এজন্য রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d