ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেটের উদ্বোধন আজ, শেষ হচ্ছে পাঁচ বছরের প্রতীক্ষা
শেষ হচ্ছে পাঁচ বছরের প্রতীক্ষা। পূরণ হচ্ছে দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে নির্মিত নগরীর ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেট চালু হচ্ছে আজ। বিকালে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এই মার্কেটের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে পুরোনো জায়গায় ‘নতুন রূপে’ ফিরছে ফইল্যাতলী বাজার।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দক্ষিণ কাট্টলী ও হালিশহরের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন বাজারের জন্য অপরিহার্য জায়গা ছিল ফইল্যাতলী বাজার। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা বাড়ানো, ব্যবসায়ীদের মানোন্নয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় বৃদ্ধি করে সক্ষমতা অর্জনে আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে এই জায়গায় নতুন মার্কেট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর প্রায় দুই বছর পর বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ মিউনিসিপাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অর্থায়নে মিউনিসিপাল গভর্নেন্স এন্ড সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ মার্কেট বুঝে নেয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু নানা জটিলতায় গত তিন বছরেও বাজার চালু করতে পারেনি চসিক।
নির্মাণাধীন সময়ে ব্যবসায়ীদের জন্য মার্কেটের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মহেশখালের পাড় ঘেঁষে নির্মিত অস্থায়ী শেডেই ছোট পরিসরে চলছিল বাজারের কার্যক্রম। ময়লা আবর্জনার মধ্যে গিঞ্জি পরিবেশে অতিকষ্টে ব্যবসায়ীরা বাজার পরিচালনা করছিলেন। সুযোগ সুবিধার অভাবে ক্রেতার সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে যায়। এখন কিচেন মার্কেট চালু হওয়ায় এই দুর্ভোগ কমবে।
জানা যায়, নতুন ও পুরাতন ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্দ্বে মার্কেটটি এতদিন চালু করা সম্ভব হয়নি। পুরাতন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিল- তাদের জন্য পর্যাপ্ত দোকান না রেখেই নতুন ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে দেয় চসিক। পরে সিটি মেয়রের উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা শেড নির্মাণ করে মার্কেটটি সম্প্রসারণ করা হয়। এরপর পুরাতন ব্যবসায়ীদের প্রাপ্য দোকান বরাদ্দ দিয়ে জটিলতা নিরসন করা হয়।
ফইল্যাতলী কিচেন মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সদস্য সচিব মো. মাসুদ রায়হান পূর্বকোণকে বলেন, মেয়র মহোদয়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আগ্রহে অবশেষে আলোর মুখ দেখছে কিচেন মার্কেট। এরমধ্যে পুরোনো ব্যবসায়ীদের দাবি মোতাবেক তাদের ২০৪টি দোকান ও স্টল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী শেড থেকে তাদের মালামাল নতুন মার্কেটে নিয়ে আসতে শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে চালু হবে এই মার্কেট।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, এতদিন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল। এখন আর দুর্ভোগ থাকবে না। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বাজারসদাই করতে পারবে।