ফরেনসিক বিভাগকে ঠিক সময়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের
মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগকে যথা সময়ে মেডিকেল সনদ, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এর আগে কনফারেন্সে উপস্থিত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও তদন্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা মেডিকেল সনদ, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট প্রাপ্তিতে বিলম্ব এবং এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল ও ফরেনসিক বিভাগ থেকে অসহযোগিতা ও হয়রানির অভিযোগ করেন। এর ফলে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ওসব মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা, বিচারপ্রার্থী মানুষ ও আসামিরা ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম আগের সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলাগুলোর সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দেন।
এছাড়া তদন্তে ভুল-ত্রুটি পরিহার করে দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
কনফারেন্সে উপস্থিত সকলের প্রাণবন্ত ও খোলামেলা আলোচনা হয়। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মামলা দায়ের, তদন্ত, সমন, ওয়ারেন্ট, ডব্লিউপিঅ্যান্ডএ, সাক্ষী উপস্থাপন, মালখানা ইত্যাদিতে বিদ্যমান সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনসহ চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডিসি (প্রসিকিউশন) আরাফাতুল ইসলামসহ নগরের সকল থানার ওসিবৃন্দ।
আরও উপস্থিত ছিলেন পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।