ফুটবল বিশ্ব মাতাতে আসছে মেসি-রোনালদো’র ছেলেরা
ফুটবলার হতে হলে বাবাকেও হতে হবে ফুটবলার- এমন কোনো মানদণ্ড নেই ফুটবল দুনিয়ায়। তবে যদি আপনার বাবা হয়ে থাকেন একজন তারকা ফুটবলার, তবে নিশ্চিত থাকুন বাকি খেলোয়াড়দের থেকে আপনার ভবিষ্যত হবে বেশ ভিন্ন। যার বড় প্রমাণ আর্লিং হাল্যান্ড। বাবা আলফি হাল্যান্ডের পথ অনুসরণ করেই প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলছেন এই ফরোয়ার্ড। পারফরম্যান্স আর গোল সংখ্যাতেও ছাপিয়ে গেছেন বাবাকে।
হাল্যান্ড ছাড়াও এমন আরও অনেক ফুটবলার রয়েছেন, যাদের সন্তানরা এখনই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে। যার মধ্যে অন্যতম বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির বড় ছেলে থিয়াগো মেসি। ১১ বছর বয়সী এই ক্ষুদে তারকা খেলেছে বার্সেলোনা ও পিএসজির যুব দলে। আর বর্তমানে খেলছে বাবার খেলা যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির যুব দলের হয়ে।
এরপরই আছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বড় ছেলে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়র। নামের মতই বাবার সব কিছু অর্জনে যেন এখন থেকেই প্রস্তুত জুনিয়র। এরইমধ্যে আল নাসরের অনূর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে নিজের প্রথম ট্রফি জিতেছে সে। যেই জয়ের মূল কারিগর রোনালদো জুনিয়র। এছাড়াও বাবার খেলা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ, য়্যুভেন্টাস, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডেও খেলা হয়েছে জুনিয়রের।
বেঞ্জামিন আগুইয়েরো ফুটবলে বিরল মানুষদেরই একজন। কেননা তার বাবার নাম সার্জিও আগুয়েরো আর নানার নাম কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। ফুটবলার হওয়ার জন্য এর থেকে ভালো ডিএনএ নিশ্চই আর পাওয়া যাবে না। বাবার দেখানো পথে চলে এখন খেলছে আর্জেন্টাইন ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের একাডেমিতে। খুব শিগগির হয়তো পেশাদার ফুটবলে দেখা যাবে এই উঠতি স্টারকে।
অনূর্ধ্ব-১২ দলের হয়ে এক মৌসুমে ৫৬ গোল করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে কাই রুনি। তার এমন পারফরম্যান্স দেখে বোঝাই যাচ্ছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খুব জলদিই মাঠ মাতাবে এই তারকা। এরইমধ্যে পুমা’র সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তিও হয়ে গেছে ওয়েন রুনির সন্তান কাইয়ের।
এছাড়াও বাবার দেখানো পথই অনুসরণ করছে, প্যাট্রিক ক্লুইভার্টের ছেলে শেন ক্লুইভার্ট। রাফায়েল ফন ডার ভার্টের ছেলে ড্যামিয়ান ফন ডার ভার্ট, রবেন ফন পার্সির ছেলে শাকুইল ফন পার্সি।