রাজনীতি

ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে হুঁশিয়ারি পলকের

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, এ ধরনের ক্ষতি যদি আগামী দিনে এদের (আন্দোলনে জড়িতদের) কারণে হতে থাকে আমরা ছাড় দেব না।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘দীক্ষা-দক্ষতা উন্নয়নে শিক্ষা অনলাইনে’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পলক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় মিথ্যা কনটেন্ট টাকা দিয়ে বুস্ট করে ছড়ানোর ফলে সহিংসতা বাড়ছে।

ফেসবুক বা ইউটিউবের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে কিনা বা এসব কনটেন্টগুলো নিয়ে তারা কি ভাবছে- এ বিষয়ে পলক বলেন, তারা যদি সহযোগিতা করতো তাহলে কিন্তু এত কঠোর অবস্থায় যেতে হতো না। আমি গত তিনদিন ধরে বলছি, আপনাদের কাছে যে আমরা বার বার সহযোগিতা চাচ্ছি। তারা আজকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু তারপরও খুব বেশি আশ্বস্ত বা আশাবাদী হতে পারছি না। কারণ, তারা যে সকল দুর্বল যুক্তি দেখাচ্ছে সেগুলো কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের যে পলিসি বা প্রাইভেট সেটিংস আছে সেগুলো আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয় না। যে দেশের আইন যেটা বলবে সেটা তাদের করতে হবে। তারা তাদের পলিসি সব দেশে বাধ্য করতে পারে না। দেশের আইন তাদের মানতে হবে।

তিনি বলেন, ফেসবুককে চিন্তা করতে হবে যে তারা যখন বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মটা ব্যবহার করছে তখন বাংলাদেশের আইন তাদেরকে মানতে হবে। আর তারা যদি তাদেরটা মানতে বাধ্য করতে চায়, আমরা তাদের নির্দেশনা মানতে বাধ্য নই। আমরা গত তিন দিন ধরে বলছি। ছয়টা প্রাণ ঝরে গেল। ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, অপপ্রচার বুস্ট করেছে টাকা দিয়ে। যখন উস্কানি সারা দেশে ছড়িয়ে গেল, সহিংস অবস্থাটায় নিয়ে গেল তারপরে ছয়টা প্রাণ ঝরে গেল।

পলক আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, একটা দেশ বিরোধী চক্রান্তকারী সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী আছে তারা এসব কাজ করছে। তার তথ্য প্রমাণ এটাই যে তারা বুস্ট করছে, টাকা খরচ করছে। এই টাকার উৎস কে? এই টাকা তো কোনো সাধারণ ছাত্রছাত্রী দিচ্ছে না। এটাই গত তিনদিন ধরে বার বার বলার চেষ্টা করছি। আমি ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল, টিকটক সবাইকে আবারও বলে দিচ্ছি; তারা পারসোনালিও আমাকে মেসেজ করেছে, অফিশিয়ালিও ই-মেইল দিয়েছে। আমাদের দেশের প্রত্যেকটি প্রাণের মূল্য আছে। প্রাণ ঝরে যাক এটা আমরা চাই না। এ ধরনের ক্ষতি যদি আগামী দিতে এদের কারণে হতে থাকে আমরা ছাড় দেব না।

আমি অনুরোধ করবো, যেন তারা পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপন করে, বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করে এবং বাংলাদেশের আইন মেনে চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d