বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে বৃহত্তর চট্টগ্রামকে সাজাতে চান প্রধানমন্ত্রী: নওফেল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে ওয়ান সিটি টু টাউনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর চট্টগ্রামকে সাজাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ‘আমরা করবো জয়’ এর উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারস্থ কর্ণফুলী নদী সংলগ্ন মাঠে দুই দিনব্যাপী টানেল উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমুর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, এ টানেল নিয়ে আমার পিতা মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন। আমার পিতার প্রথম নির্বাচনের ইশতেহারেও টানেল নির্মাণের কথা উল্লেখ ছিল কারণ আমাদের দেশের রাজস্ব আয়ের প্রায় ৭০ ভাগ আসে এ কর্ণফুলী নদী থেকে। এ কর্ণফুলী নদী হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তাই আমাদের চাওয়া ছিল কর্ণফুলী নদীতে যাতে পলি না জমে সেজন্য নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু অথবা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। দুঃখজনকভাবে তৎকালীন বিএনপি সরকার কর্ণফুলী নদীর উপর একটি আধা ঝুলন্ত সেতু করে কর্ণফুলী নদীকে একটি মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত করেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে ওয়ান সিটি টু টাউনের মাধ্যমে বৃহত্তর চট্টগ্রামকে সাজাতে চান। এ টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম ইতিহাসে জায়গা করে নিবে নিঃসন্দেহে। চট্টগ্রামের অর্থনীতির দ্বার আরো উন্মোচিত হবে এ টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। তিনি আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রামের সকল ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে টানেল উৎসবের আয়োজক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, পুরো চট্টগ্রামবাসী আজ এক মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ এই টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম একটি বৃহৎ অর্থনৈতিক শহরে জায়গা করে নিবে। একটি টানেলের মাধ্যমে নদীর দুই পাড়ই উপকৃত হবে প্রকৃত অর্থে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর ১৪ দল নেতা মাওলানা নজরুল ইসলাম আশরাফী এবং মিটুল দাশগুপ্ত।
আরো বক্তব্য রাখেন জহির উদ্দিন মো. বাবর, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপিকা তাহমিনা বেগম, আমিনুর রশীদ দুলাল, রুহুল আমিন তপন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, ফরহান আহমেদ, মো. সালাউদ্দিন, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আজম খান, খলিলুর রহমান নাহিদ, নাজিম উদ্দিন, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, এমদাদুল হাসান বাবু, মোরশেদ আলম, আলী আকবর বাবুল, এ.জে.এম মহিউদ্দিন রনি, গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, জসীম উদ্দিন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, কামরুল হক, জানে আলম, সোলায়মান সুমন, মো. মনির উদ্দিন, মো. ইউনুছ, শহীদুল আলম লিটন, তোফায়েল আহমদ রয়েল, সমীর মহাজন লিটন, আব্দুর রহিম জিল্লু, রাজীব হাসান রাজন, মো. ওয়াসিম, আফগানী বাবু, ওয়াসিম আকরাম, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, আশিকুন্নবী চৌধুরী, সরওয়ার্দী এলিন, এস এম করিম, পাভেল ইসলাম, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী, আফম সাইফুদ্দিন, শওকত আলী রনি, সুজন বর্মন, ইরফানুল আলম জিকু প্রমুখ।