কক্সবাজারচট্টগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে ডাকাতি, ১২ লাখ টাকার ইলিশ লুট

বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি ও জেলেদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ট্রলার মালিকের অভিযোগ, এ সময় প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ৬০টি মাছ ধরার জাল লুট করা হয়েছে।

গত ৩১ আগস্ট রাত প্রায় আড়াইটার দিকে সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে ৫ মাইল দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ডাকাতির শিকার ট্রলার মালিক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার মো. আক্তার হোছাইন বাদী হয়ে কক্সবাজার মডেল থানার মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গা এলাকার এফ বি মারুফ ফিশিং বোটের মালিক আব্দুচ ছবুরসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২০ আগস্ট পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাট থেকে মো. আক্তার হোছাইনের মালিকানাধীন ‘এফ বি মা-বাবার দোয়া ফিশিং’ বোটটি মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। প্রায় ১১ দিন মাছ ধরার পর ৩১ আগস্ট মাছবোঝাই ট্রলারটি সোনাদিয়া দ্বীপের দক্ষিণে পৌঁছালে এফ বি মারুফ ফিশিং বোটের মালিক আব্দুচ ছবুর ডাকাতসহ তার সহযোগীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ট্রলারটির গতিরোধ করে। এ সময় মাঝিমাল্লাসহ ১৭ জনকে মারধর করে ওই ট্রলারের মেশিন ঘরে আটকে রেখে ১৪টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ট্রলারটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরদিন ১ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে কক্সবাজার শহরের নজিরারটেকের কাছাকাছি এনে ট্রলারে থাকা ১০-১২ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ও ২৫ লাখ টাকা দামের প্রায় ৬০টি জাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা বোটের ইঞ্জিনে আঘাত করে বিকল করে সাগরে ফেলে মহেশখালী দিকে চলে যায়।

ভুক্তভোগী ট্রলার মালিক আকতার হোছাইন জানান, এর আগেও সাগরে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। আব্দুস সবুরের মতো বেশকিছু চক্র আছে, যারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। পরদিন তিনি অনেক চেষ্টার পর বিকল ট্রলারটি চালু করে বাঁশখালী ফিরে এসে বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মছিউর রহমান বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগের ঘটনা। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d