বনশ্রীতে স্কুল শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় সামিউল আলম ধ্রুব (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্বজনেরা। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
পরে রাত সোয়া ১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, ধ্রুব কুষ্টিয়া সদরের কালিশঙ্করপুর গ্রামের জাহিদুল আলম রাজুর ছেলে। দক্ষিণ বনশ্রীর বাসায় ভাড়া থাকত। ধ্রুব বনশ্রী মডেল হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। দুই ভাইয়ের মধ্যে ধ্রুব ছিল ছোট।
ধ্রুবর বাবা জাহিদুল আলম বলেন, ‘প্রায় সাত বছর আগে ধ্রুবর মায়ের সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে ধ্রুব ও তার বড়ভাই ওই বাসায় থেকেই লেখাপড়া করত। আমি একসময় যমুনা টেলিভিশনে চাকরি করতাম। এখন একটি প্রোডাকশন হাউজে চাকরি করি। এখন আমার চাকরি ঢাকায় হওয়াতে দুই ছেলের সাথে বনশ্রীর বাসায় থাকি।’
জাহিদুল আলম বলেন, ‘গত রাতে ধ্রুব রান্না করেছে, আমরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছি। কয়েকদিন ধ্রুবকে কিছুটা শান্ত ও ডিপ্রেশনে থাকলে যেমন দেখায় তেমন মনে হচ্ছিল। কিন্তু ও সবসময় চুপচাপ থাকত, কাউকে কিছু বলত না। খাবার খেয়ে আমি বাইরে যাই। ফিরে এসে দেখি, গলায় ছেলেদের পাঞ্জাবিতে ব্যবহার করা ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে ধ্রুব। অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান ধ্রুব আর বেঁচে নেই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবা জাহিদুল আলম বলেন, ‘কেনো ধ্রুব এমনটি করল কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ও কিছুই আমাকে বলল না, কি সমস্যা ছিল ওর। ওর তো কারো প্রতি কোন অভিমান ছিল নারে ভাই।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষার্থী ধ্রুবর মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানিয়েছি।