বন্যায় বিপর্যস্ত খাগড়াছড়ি
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের খাগড়াছড়িতে বন্যা দেখা দিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়ের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর থেকে পৌর এলাকাসহ জেলা সদরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পৌর বাস টার্মিনাল তলিয়ে গেছে।
পৌরসভার গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল, শান্তিনগর, মুসলিম পাড়া পুরোপুরি পানির নিচে।
বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আটকে পড়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। সেনাবাহিনী, স্বেচ্ছাসেবকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মাঠে কাজ করছে।
খাগড়াছড়ি সদরে ৩ হাজারের মতো পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
খাগড়াছড়ি সদরই নয়, দীঘিনালা ও রামগড় উপজেলার অধিকাংশ এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ১৮টিসহ পুরো জেলায় ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ির সঙ্গে দীঘিনালা এবং রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
টানা বর্ষণের কারণে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হচ্ছে।