দেশজুড়ে

বস্তায় আদা চাষে লাভবান কৃষকরা

নওগাঁর নিয়ামতপুরে বাণিজ্যিকভাবে বস্তায় আদা চাষে বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বাড়ির আঙিনা, বাড়ির ছাদ, অনাবাদি ও পতিত জমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বস্তায় মাটি ভরে কিংবা টবে আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। তা দেখে আরও অনেকের আগ্রহ বাড়ছে বস্তায় আদা চাষের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে বস্তায় আদা রোপণ করলে পৌষ-মাঘে আদা উত্তোলন করা যায়।

কন্দ পঁচা রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে আদা রক্ষায় নিয়মিত বিকেলে ছত্রাক নাশক ও কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। আদা উত্তোলনের আগ পর্যন্ত প্রতি বস্তায় খরচ হয় ৫৫-৬০ টাকা। প্রতিটি বস্তায় ১-১.৫ কেজি আদা উৎপাদন হয়। এতে প্রতি বস্তায় খরচ বাদে আয় হবে ১৩৫-১৪০ টাকা।

স্বল্প পরিচর্যা ও স্বল্প খরচে বস্তায় আদা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে একাধিক পরিবার।এছাড়া আদা চাষে সেচ, কীটনাশক ও সার প্রয়োগসহ অন্যান্য খরচ কম হয় বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।এদিকে বস্তায় আদা চাষের ক্ষেত পরিদর্শন করেন জেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম মনজুরে মাওলা ও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান।

উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়া এলাকার কৃষাণি রোকসানা খাতুন বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ শুরু করেছি।বস্তায় আদা চাষাবাদের অনুকরণে আশেপাশের অনেকের মধ্যেই আদা চাষে আগ্রহ বেড়েছে।’

উপজেলার হরিপুর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাগানে পরীক্ষামূলকভাবে বস্তায় আদা চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় কয়েক গুণ লাভের আশা করছি।’ উল্লেখ্য, তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকার অন্যান্য কৃষকরা আদা চাষ করছেন।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ‘বস্তায় আদা চাষ করলে অতি বৃষ্টি বা বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না। একবার ফসল তোলার পর সেখানে আলাদা করে কোনো সার ছাড়াই আরেকটি ফসল ফলানো যায়। ফলে খরচ একেবারেই কম হয়। মসলা জাতীয় এই আদা চাষে রোগবালাই নিরাময়সহ যাতে আদার ফলন ভালো হয়ে কৃষকরা লাভবান হয়। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d