বাঁশখালীতে জেলেদের চাল বিতরণ পরিদর্শনে এমপি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য মুজিবর রহমান।
বুধবার (১২ জুন) সরেজমিনে জেলেদের চাল বিতরণ পরিদর্শন করতে গিয়ে গুদামে গণণা করে ১৬ মেট্রিক টন চাল কম পান তিনি।
জানা গেছে, ১ হাজার জেলেদের মধ্যে ৫৬ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু পরিষদের গোডাউনে পান ৪০ মেট্রিক টন। এসময় তিনি বাকি চালগুলো কোথায় জানতে চান।
এসময় পরিষদের সচিব জামাল মিয়া বাকি চালগুলো আসার পথে বলে জানান।
তিনি বলেন, অনিমের বিষয়টি যা হবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই হবে। ফয়সালা হবে আদালতে। অনিয়মের জন্য এক ইঞ্চি পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। কাগজপত্র ঠিক থাকলে অসুবিধা নাই। অভিযোগ দিতে পারে। পরে এমপি মুজিবুর রহমান উড়িয়া খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জেলেদের চাল বিতরণের ডিও লেটারে পরিষদ গুদামে চালের মিল না থাকার কারণ জানতে চান ।
এমপি মজিবুর রহমান জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাকে স্বেচ্ছায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমার নির্বাচনের স্লোগান ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। শপথ নেয়ার পর থেকে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছি। এলাকায় চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। এখানে পক্ষে বিপক্ষে নেই। কাউকে হ্যারাসমেন্ট করার জন্য আসি নাই। আমি চাই একটা স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। অতীতে কি হয়েছে সে কথা বলবো না। আমি এসেছি এজন্য কটুক্তি করবেন না। অপবাদ দেবেন না।
খানখানাবাদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন হায়দার বলেন, পরিষদের গুদামে ধারণ ক্ষমতা ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিক টন। এমপি সাহেব পরিদর্শন করাকালীন সময়ে গুদামে ছিল ৪০ মেট্রিক টন। পরে খাদ্য গুদাম থেকে আরও ১৬ মেট্রিক টন চাল এনে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার, আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদ আকবর জেবু, মোহাম্মদ ওয়াজেদ, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম , আনোয়ার হোসেন, নুরুল হক প্রমুখ ।