খেলা

বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

বিশ্বজুড়ে খ্যাতির অন্ত নেই ফুটবলার মেসির। লিওর যাদুকরী ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকে ভক্তরা। তবে ফুটবলের বাইরেও এলএমটেনের আছে ভিন্ন এক জগৎ। ব্যবসা বাণিজ্যের দুনিয়াতেও যে সাফল্যের সাথে বিচরণ করেন এই মহাতারকা, সে খবর রাখেন ক’জন?

২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন মেসি। এরপর গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন পানীয় আনার ঘোষণা দেন মেসি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

মেসি বলেন, আমাদের নতুন হাইড্রেশন পানীয়টি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রেশন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে সেটি সম্পর্কে জেনেছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসির দেয়া পোস্ট থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২৪ জুন পানীয়টি বাজারজাত করা হবে। শুরুতে এই পণ্য পাওয়া যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বাজারে।

ইন্টার মায়ামি থেকে বছরে ৫ থেকে ৬ কোটি ডলার আয় করেন মেসি। ফোর্বসের হিসাব মতে, মেসির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি ডলার। নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। কাজ করেন জনপ্রিয় দুই ব্রান্ড অ্যাডিডাস ও পেপসিকোর সাথেও। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

এছাড়া, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্ট-টেক নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন মেসি। প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে থাকে। তাছাড়া হোটেল ব্যবসা থেকেও বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। সৌদি ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ থেকে বছরে পান ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d