বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী
বান্দরবান শহরে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব মাহা ওয়াগোয়াই পোয়ে ও প্রবারণা পূর্ণিমার প্রথম দিন উদযাপিত হয়েছে।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং মানুষের সুখ ও শান্তি কামনা করে বান্দরবান কালাপাড়া স্বর্ণমন্দিরে প্রার্থনায় হাজার হাজার ভক্ত ও অনুসারীদের সাথে যোগ দেন।
এসময় পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং পর্যায়ক্রমে বন্দনা, পঞ্চশীল, অষ্টশীল, দেশনা, দানীয় সামগ্রী বিতরণ, বৌদ্ধ ধ্বজ উত্তোলন ও হাজারও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশ নেওয়ার পর চুলামণী জাদির উদ্দেশ্যে ফানুস উৎসর্গ করেন।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবান শহরের কালাপাড়া স্বর্ণমন্দিরে মারমা সম্প্রদায়ের প্রাণের উৎসব মাহা ওয়াগোয়াই পোয়ে ও প্রবারণা পূর্ণিমার দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে হাজারও ভক্তের সঙ্গে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বন্দনায় অংশ নেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ উৎসবের মাধ্যমে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বন্দনা করা হয়। বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রতিটি মানুষের মনে সুখ বয়ে আনার প্রার্থনা করা হয়। প্রাণের মিলনমেলা এই উৎসবের মাধ্যমে যা কিছু সুন্দর; যা কিছু সত্য, তারই বন্দনা করা হয়। এই উৎসবের মাধ্যমে নতুনভাবে আশাগুলো আবারও সঞ্চারিত হবে এ প্রত্যাশা সকলের মনে। এ উৎসব নব জীবনের নব যাত্রার সন্ধিক্ষণে সকল মানুষকে স্বাগত জানায়। মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে ওয়াগ্যোই মিলনমেলায় সকলে সমবেত থাকার আহ্বান জানানো হয় প্রার্থনায়।
হাজারও ভক্ত অনুসারীর মধ্যে এসময় বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রায়হান কাজমী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম, বান্দরবান পৌর মেয়র শামসুল ইসলাম, বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বান্দরবান হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অমল কান্তি দাশ, বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পুলু মারমা, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক, সদর উপজেলার কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারও নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।