বিদ্যুৎ চুরির মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে এনআইডি জালিয়াতি করে ধরা
যশোর: নাম তার জাকির হোসেন, পিতা মো. মুনছুর আলী। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গেলে জাকির দাবি করেন, তার নাম মোহাম্মদ মোশরফ হোসেন, পিতা মো. হারুনউর রশিদ।
বিভ্রান্তিতে পড়ে পুলিশ তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে বলে। জাকির তখন মোশরফ হোসেন নামের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখান। একপর্যায়ে পুলিশের জেরার মুখে তিনি স্বীকার করেন, জাকির এবং মোশরফ দুই নামেই তার জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ মামলার আসামি গ্রেফতার করতে গিয়ে এনআইডি জালিয়াতির এ ঘটনা উদ্ঘাটনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার এএসআই টমাস মন্ডল।
গ্রেফতার জাকির হোসেনের দু’টি এনআইডি’র তথ্য অনুযায়ী, একটিতে নাম-জাকির হোসেন, পিতা মো. মুনছুর আলী, মাতা সাফিয়া খাতুন, ঠিকানা- সেক্টর ১, উপশহর, সদর, যশোর; । অন্যটির নাম মোহাম্মদ মোশরফ হোসেন, পিতা মো. হারুনউর রশিদ; মাতার নাম ঠিকানা ও জন্ম তারিখ একই।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের ঘোপ জেল রোডে ঢাকা হোটেল নামে একটি হোটেল চালান জাকির হোসেন। কিন্তু হোটেলটির ট্রেড লাইসেন্স মোহাম্মদ মোশরফ হোসেন নামে নেওয়া। ২০১৯ সালে ট্রেড লাইসেন্স নিলেও তার নামে কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। বিদ্যুৎ চুরি করে হোটেল চালানোর অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই হোটেলে অভিযান চালায়। অভিযানে বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আয়েশা আক্তার মৌসুমী ৬২ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু এই জরিমানা না দেওয়ায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
ওইদিন রাতে উপশহরের জলপাইতলা ফকিরার মোড়ে জাকিরের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় জাকির নিজের পরিচয় লুকাতে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের জেরায় তার দু’টি এনএইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে জাকির নামে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং মোশরফ নামে ট্রেড লাইসেন্সও উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।