লাইফস্টাইল

বিয়ে করছেন না কেন?

‌‘বিয়ে কবে করছেন?’ কিংবা ‘বিয়ে করছেন না কেন?’ এ ধরনের প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই শুনছেন? তার মানে হলো আপনার বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু বিয়ে করছেন না, তাই না? যদিও বিয়ের জন্য বাঁধা-ধরা বয়স নেই কিন্তু আমাদের সমাজে প্রচলিত একটি বয়সসীমাকে ‌‘বিয়ের বয়স’ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সেই সীমা পার হয়ে গেলেই এ ধরনের প্রশ্ন শুনতে হতে পারে।

যদিও কে কবে বিয়ে করবেন তা একান্তই তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং অনেক সময় এ বিষয়ে অন্যদের পরামর্শ কিংবা প্রশ্ন বিরক্তিকর লাগতে পারে, তবু কিছু মানুষ আপনার জন্য সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে পারে। তাই সব সময় অন্যদের প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখতে পারেন যে আসলেই আপনি বিয়ে করছেন না কেন।

বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?

আপনি যদি সারাজীবন বিয়ে না করে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে তা স্পষ্ট করে পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জানিয়ে দিন। সেইসঙ্গে একথাও বলে দিন যে বারবার একই প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে চান না। তবে খারাপ ব্যবহার করবেন না, ভালোভাবে বিনয়ের সঙ্গে বুঝিয়ে বলুন। এই জীবনই যে আপনার সবচেয়ে পছন্দের আর প্রশান্তির সেকথাও বলুন। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ থাকলে সেটিও উল্লেখ করুন। কোনো ধরনের লুকোচুরি করে আপনজনদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না।

আরও কিছুদিন সময় চাচ্ছেন?

আপনি যদি আরও কিছুদিন সময় চান তবে সেকথাও জানিয়ে দিন। সবার বিয়ের বয়স যে এক নয়, সেকথাও বলুন। কারও কারও কিছুটা দেরি হতেই পারে। আপনি বলে দিন যে সময় হলে আপনি নিজেই জানাবেন। সময়টা কেন চাচ্ছেন সেকথাও জানিয়ে দিন। হয়তো আপনার কিছু দায়িত্ব কিংবা প্রস্তুতি পালনের বিষয় রয়েছে। সবাই সেকথা না-ও জানতে পারে। তাই আপনি তাদের প্রশ্নে বিরক্ত না হয়ে স্পষ্ট করে বলে দিতে পারেন। তবে যারা কোনোভাবেই জানার অধিকার রাখে না কিংবা খোঁচাখুঁচি করা যাদের অভ্যাস, তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের প্রশ্নে উত্তর হিসেবে তাদেরকে শুধু মুচকি হাসিই উপহার দিন।

কাউকে ভালোলাগে?

হতে পারে আপনার বয়স কিছুটা বেশি, কিন্তু এই বয়সে আপনার কাউকে ভালোলেগে গেছে আর তা মুখ ফুটে বলতেও পারছেন না। তাই হয়তো বিয়ের সিদ্ধান্তও নিতে পারছেন না। এরকমটা যদি হয়ে থাকে তবে কোনো ধরনের হীনমন্যতা না করে জানিয়ে দিন ভালোলাগার কথা। আপনি আর প্রেম করার বয়সে নেই, ভালোলাগার মানুষটি বিয়েতে সম্মত হলেই জীবন সহজ হয়ে যাবে। যদি সম্মত না হয় তবু মন খারাপ করে একা থাকার সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না যেন। ইচ্ছা এবং সামর্থ্য থাকলে বিয়েতে দেরি করবেন না। অকারণে সময় নষ্ট করলে বিয়ে না করা সম্পর্কিত নানা প্রশ্নে আপনি জর্জরিত হতেই থাকবেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d