বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশকে বড় লজ্জা উপহার যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশকে বড় লজ্জা উপহার দিল যুক্তরাষ্ট্র। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ হারল ৫ উইকেটে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে ধুঁকতে ৬ উইকেটে করা বাংলাদেশের ১৫৩ রান ৫ উইকেট ও ৩ বল হাতে রেখেই টপকে গেল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নেমে দলটি গড়ে ফেলল ইতিহাস। টেস্টখেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে এটি তাদের মাত্র দ্বিতীয় জয়। এর আগে একমাত্র জয়টি এসেছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
প্রতিপক্ষের যখন ওভারপ্রতি দরকার মাত্র ৭.৭ রান, তখন ম্যাচ জেতার পূর্বশর্ত পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নেওয়া। বাংলাদেশ সেটি পেয়েছে ভাগ্যক্রমে। শরীফুল ইসলামের করা চতুর্থ ওভারে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনার ও অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। যুক্তরাষ্ট্রের রান তখন ২৭।
বাংলাদেশকে পরের উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নবম ওভার পর্যন্ত। রিশাদ হোসেনের বলে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনে নামা আন্দ্রিস গুস। ১৮ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। রিশাদের ব্রেকথ্রুর পর অবশ্য রান আটকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। সেটি কাজেও দেয়। ১২তম ওভারে মোস্তাফিজ এসে ২৯ বলে ২৮ রান করা ওপেনার স্টিভেন টেলর ও অ্যারন জোন্সকে (১২ বলে ৪ রান) আউট করেন। আরেক বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামের করা ১৫তম ওভারে ১০ বলে ১০ রান করে আউট হন নিতিশ কুমার।
তবে সেটিই হয়ে থেকেছে বাংলাদেশ বোলারদের সর্বশেষ সাফল্য। যুক্তরাষ্ট্রের স্কোর তখনো ৫ উইকেটে ৯৪। অভিজ্ঞ কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিংয়ের জুটির শুরু তখন থেকে।
দুই বাঁহাতি ক্রিজে থাকায় নাজমুল হোসেন তাঁর সেরা বোলার সাকিব আল হাসানকে শেষ পাঁচ ওভারে বোলিংয়ে আনেননি, ১৬তম ও ২০তম ওভার করেছেন মাহমুদউল্লাহ। মাঝের ৩ ওভার ভাগাভাগি করেছেন শরীফুল ও মোস্তাফিজ। দুই পেসারের করা সেই ৩ ওভারে ৪৬ রান নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের জয় প্রায় নিশ্চিত করেন অ্যান্ডারসন ও হারমিতের জুটি।
অ্যান্ডারসন ২৫ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন, হারমিনের ৩৩ রান এসেছে মাত্র ১৩ বলে। দুজনের জুটি অবিচ্ছিন্ন থাকে ২৮ বলে ৬২ রানে।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নতুন কিছু দেখা যায়নি। যারা ছন্দে নেই, তারা আজও রানের দেখা পাননি। যারা রানের দেখা পাচ্ছিলেন, তাঁরাই রান করেছেন। তাতেই বাংলাদেশের স্কোরটা কোনোরকমে ১৫০ পেরোয়।