বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশ্ব নেতাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ভারত, চীন, রাশিয়া, জাপান, বেলারুশে, চেক প্রজাতন্ত্র, ইন্দোনেশিয়া, নিকারাগুয়াসহ অর্ধ শত রাষ্ট্রের সরকার প্রধান অভিনন্দন জানিয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)সহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক সংগঠনের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এমনকি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখার আশাবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় প্রথমেই শেখ হাসিনাকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ৮ জানুয়ারি বিকেলে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে এক পোস্টে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বললাম এবং সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করায় তাকে অভিনন্দন জানালাম।”
৮ জানুয়ারি ভারত ছাড়াও চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, নেপাল, ব্রাজিল, মরক্কো, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিসর, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও লুক্সেমবার্গ এবং ফিলিপিন্স শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
গণভবনে শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে এসব দেশের রাষ্ট্রদূতেরা তাদের নিজ নিজ দেশের ‘অভিনন্দন বার্তা’পৌঁছে দেন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সোমবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন। এসময় চীনের নেতাদের পক্ষে থেকে শেখ হাসিনাকে ‘উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভকামনা বার্তা’ পৌঁছে দেন তিনি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত।
প্রায় কাছাকাছি সময়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ মান্টিটাস্কিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে দেখা করে অভিনন্দন জানান।
আওয়ামী লীগ সংসদ নির্বাচনে সংখাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে অভিনন্দন জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী এবং শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোদি।
এছাড়া, ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিল, ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল. আউসান জুনিয়র, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাউলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মোহামেদ সাগরোচনি এবং সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইও শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে অভিনন্দন জানান।
শুভেচ্ছা বার্তায় দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার আশা ব্যক্ত করেছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান অভিনন্দন বার্তায় আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরও গভীর ও সুদৃঢ় হবে।’
পৃথক বার্তায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি নির্বাচনে ফের জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই উচ্চ পদে আপনার পুনর্র্নিবাচিত হওয়া দেশের আরও অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনার নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত করে।’দুই দেশের জনগণের কল্যাণে আগামী বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও উল্লেখ করেন সিসি।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা অভিনন্দনপত্রে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার সরকারের অর্জন উল্লেখসহ দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের আশা ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণও জানান সিলভা।
পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের উপপ্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক কর্মসূচিবিষয়ক মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমও। অভিনন্দন বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার এক দশকের বেশি দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সাফল্যের নজির সৃষ্টি করেছে।
এ ছাড়া বেলারুশের প্রধানমন্ত্রী রোমান গোলোভচেঙ্কো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্র্নিবাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, বেলারুশ সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আমি সাধারণ সংসদ নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসী বিজয় এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
গোলভচেঙ্কো বলেন, এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনগণের উচ্চ আস্থা, আপনার কর্তৃত্ব এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কৌশলের সঠিকতা নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সফলভাবে জোরদার করতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং পক্ষগুলোর স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা আনন্দদায়ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক অভিনন্দন বার্তায় চেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চেক প্রজাতন্ত্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে তা আমি গভীরভাবে মূল্যায়ন করি এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা আমাদের উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে তা আরও গভীর ও জোরদার ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখব।’
পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় অপরিসীম আনন্দের সাথে আমি আপনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’জোকো উইডোডো বলেন, ‘এই সম্মানিত পদে আপনার নিয়োগ আপনার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের গভীর শ্রদ্ধা ও অটুট আস্থার পরিচয়। আপনার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও বিশাল অভিজ্ঞতার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে যথেষ্ট সহায়ক হবে। অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির নতুন যুগে প্রবেশের এ মুহূর্তে অত্যন্ত আশাবাদের সঙ্গে আমি আমাদের দুই মর্যাদাবান দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা উন্নয়নের আশা প্রকাশ করছি।’
নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা সাভেদ্রা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিল্লো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পনর্নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আমাদের দেমেল জনগণ ও পরিবার এবং পুনর্মিলন ও জাতীয় ঐক্যের সরকারের পক্ষ থেকে আপনাকে আমাদের আন্তরিক ও উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
গত ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। চিঠিতে গুতেরেস লিখেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের যে অংশীদারিত্ব, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি উদারতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে সাফল্য বাংলাদেশ পেয়েছে– জাতিসংঘ তা গভীরভাবে মূল্যায়ন করে।’ গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ ও ট্রাস্টে অংশগ্রহণের জন্যও শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, ‘কমনওয়েলথ সচিবালয় আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার পর আপনাকে লিখতে পেরে আমি আনন্দিত’এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি আপনার নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার সঙ্গে সঙ্গে অনুগ্রহ করে আমার উষ্ণ অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানায়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইইউ। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত একথা বলেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুলো পদক্ষেপ রয়েছে এবং পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।’
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপির নির্বাচন বর্জন পরও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা সরকারের কূটনৈতিক বিজয় বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, একটি দল অংশ নিলে অংশগ্রহণমূলক হবে, আর অংশ না নিলে অংশগ্রহণমূলক হবে না— এটি কোথাও লেখা থাকে না। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি তাতে কি নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন হয়েছে; রাষ্ট্রও চলেছে। বিদেশিরাও সংযত থেকেছে। এবারও নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। নির্বাচন হয়েছে, রাষ্ট্র চলছে। বিদেশিরা অভিনন্দন জানাচ্ছে।
কূটনীতির বড় কাজ হলো সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে সাবেক কূটনীতিক মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কাজটা আমরা করেছি, সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে, নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চেয়েছে। নির্বাচনের আগে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলার চেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে দেখা গেছে। কিন্তু সেটা এখন কমে আসাটাই স্বাভাবিক। যেকোন দেশই মনে করবে এখন সম্পর্কটা নতুন সরকারের সঙ্গে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেস্টা করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না যারা চাপ সৃষ্টি করতে চেয়েছে তাদের নিজেদের রেকর্ড খুব ইতিবাচক নয়। আমরা জনগণের জন্য কাজটা যদি ঠিক মতো করতে চেষ্টা করি তবেই আগামীর সফলতা আসবে, অন্যদের নিয়ে ভেবে সেই সময়টা নষ্ট করার কিছু নেই।’