অর্থনীতিচট্টগ্রাম

বেড়েছে আমদানি, কমছে দাম

আমদানি বাড়ার কারণে অবশেষে কমছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বাজার। বিশেষ করে বর্তমানে খাতুনগঞ্জের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের পাশাপাশি পাকিস্তানি ও চীনা পেঁয়াজ আসায় দাম কমছে। গত দুদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে কেজিতে ৮ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া রসুন কেজিতে ২০ টাকা এবং আদার দাম কেজিতে কমেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন প্রত্যেক ব্যবসায়ীর দোকান ও গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ রয়েছে। পাকিস্তানি ও চীনা পেঁয়াজ আসার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ কমেছে। তবে গুণগত মানের দিক থেকে ভারতীয় পেঁয়াজের তুলনায় এসব পেঁয়াজ অনেক পিছিয়ে।

গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫৭-৫৮ টাকায়। পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫–৪৬ টাকায়। চীনা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬–৩৮ টাকায়। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এর প্রভাবে দামও নিম্নমুখী। বর্তমানে বাজারে যে পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ বাজারে ক্রেতার সংকট রয়েছে।

চাক্তাই আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, কাঁচা পণ্যের বাজারে দাম একটু বাড়লে সিন্ডিকেট কারসাজির অভিযোগ করা হয়। আসলে কাঁচা পণ্য চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের বেশিদিন মজুদ রাখা যায় না। এতে পণ্যের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। পণ্যের সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যায়। সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়। এখন যেমন বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে, তাই দাম কমছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভর করে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে-এই ঘোষণার সাথে সাথে দেশে পেঁয়াজ কমে যায়। আবার উল্টো দিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হবে-এমন খবরে বাজার বেড়ে যায়। বাজারে কিছুদিন দাম বাড়ে, আবার কিছুদিন দাম কমে। তাই প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d