বেতন-বোনাসের দাবিতে জাহাজভাঙা শিল্পের শ্রমিকদের মানববন্ধন
আগামী ১০ জুনের মধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহার বোনাস ও মে মাসের বেতন পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রামের জাহাজভাঙা শিল্পের শ্রমিকরা। পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবিও তুলেছেন তারা।
শুক্রবার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আয়োজনে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফোরামের সভাপতি তপন দত্তের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ সীতাকুণ্ড আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের কোষাধ্যক্ষ রিজওয়ানুর রহমান খান, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক শিমুল, বাংলাদেশ মেটাল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী, বাংলাদেশ ফ্রি ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে এম শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইদ্রিছ, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আহ্বায়ক মো. মানিক মণ্ডল, জাহাজভাঙা শ্রমিক নেতা মো. হাসান প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা যে মজুরি পান তা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জাহাজভাঙা সেক্টরে ২০১৮ সালে ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ইতোমধ্যে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় শ্রম আইন অনুসারে নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণার সময় হয়ে গেছে। তাই অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য রোধের স্থায়ী এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমাধানকল্পে দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও জাহাজভাঙা শ্রমিকসহ সকল খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যায্যমূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং সারাদেশে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় টিসিবির অধীনে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার জন্য আসন্ন বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং জাহাজভাঙা শিল্পাঞ্চলে সার্বক্ষনিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স রাখার জোর দাবি জানানো হয়।