বৈঠকের মাঝেই হামলার সাইরেন, বাঙ্কারে আশ্রয় নেন ব্লিংকেন-নেতানিয়াহু
টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত চলছে। সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েল যেমন গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে, তেমনি ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরেও রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস। তেমনই এক হামলার সম্মুখীন হয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) তেল আবিবে হঠাৎই বেজে ওঠে সাইরেন। এসময় শহরটিতে বৈঠক করছিলেন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
পরে তারা বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তেল আবিবে বৈঠক করার সময় সেখানে রকেট হামলার সাইরেন বেজে ওঠে এবং এর জেরে তারা পাঁচ মিনিটের জন্য একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
মূলত অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যকার বৈঠকের মধ্যে কী হয়েছিল তা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার প্রকাশ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিংকেন গত চার দিন ধরে মধ্যপ্রাচ্য চষে বেড়াচ্ছেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর তিনি আরব বিশ্বের ছয় দেশ জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর সফর করেছেন। এই সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে বৈঠক করেন তিনি।
তার এই সফরের উদ্দেশ্য গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কীভাবে সর্বোত্তম মানবিক সহায়তা এবং বিদেশি নাগরিকদের চলে যেতে দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আরব বিশ্বের চিন্তা-ভাবনা শোনা, জানা এবং আলোচনা করা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরটি এই অঞ্চলকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্তা জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সাজানো হয়। সেই বার্তাটি হল, হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনে বাধা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ইরানের এই সহায়তা ঠেকাতে চায়।
সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন ব্লিংকেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি, নিজেকে এবং তার জনগণকে রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা বোঝে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল এই কাজে সবসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে।