ভাঙচুর অগ্নিসংযোগে চবির ক্ষতি ৩ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনের ছাদে হেলে পড়া গাছের ধাক্কায় শিক্ষার্থীদের আহতের পর ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ভাঙচুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটির রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শাটল ট্রেনের ছাদে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ১২টার দিকে ৬৬টি যানবাহন, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক ক্লাব এবং পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করে কর্তৃপক্ষ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য ও পরিবহন দপ্তর থেকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে ‘পুঁজি’ করা হয়েছে শাটল ট্রেন দুর্ঘটনাকে। মামলায় ভাঙচুর, চাঁদা দাবি, হত্যার চেষ্টা ও চুরির অভিযোগ আনা হয়। দুটি মামলায় ৭ জন করে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কমিটির সদস্যরা ছয়টি স্থানে ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো উপাচার্যের বাসভবন, নিরাপত্তা দপ্তর, মূল ফটক, অতিথি ভবন, শিক্ষক ক্লাব ও নিরাপত্তা দপ্তর। এসব জায়গার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পরিবহন দপ্তরে। ছোট বড় ৪৮টি গাড়ি ভাঙচুরের মেরামত বাবদ ক্ষতি ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
অন্যদিকে উপাচার্যের বাসভবনের আসবাব, ফ্রিজ, এসি, টেলিভিশন ইত্যাদি ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতি ধরা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। শিক্ষক ক্লাব ভাঙচুরের ৫ লাখ ৫ হাজার টাকা, অতিথি ভবন ভাঙচুরে ২ লাখ ৮ হাজার টাকা, প্রধান ফটকে পুলিশ বক্স ভাঙচুরে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও নিরাপত্তা দপ্তরে ভাঙচুরে ক্ষতি হয়েছে ১৭ হাজার টাকা।
কমিটির আহ্বায়ক সজীব কুমার ঘোষ বলেন, ভাঙচুরের ঘটনাস্থল সরেজমিনে বিশ্লেষণ ও জিনিসপত্রের বাজারদর যাচাই করে ক্ষয়ক্ষতির এ পরিমাণ তারা নিরূপণ করেছেন।
সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে। প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চাহিদা দেওয়া হবে।