চট্টগ্রাম

ভাঙা হচ্ছে চসিকের পুরোনো ভবনটি

অবশেষে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ের পুরোনো ভবনের। এর ফলে নতুন নগর ভবন নির্মাণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল সংস্থাটি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঈনুদ্দিন জাবেদ ট্রেডিং পুরোনো ভবনটি ভাঙার নিলামে ৭০ লাখ ১০ হাজার টাকায় কার্যাদেশ পেয়েছিল ২০১৯ সালে। নানা জটিলতায় কাজটি শুরু করা সম্ভব হয়নি।

নগর ভবন নির্মাণে চসিকের নতুন উদ্যমের কারণে ভাঙার কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এক সপ্তাহ ধরে চলছে ভাঙার কাজ। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে চসিকের। তাই ৩৫ জন শ্রমিক-মজুরের পাশাপাশি হেমারিং স্ক্যাভেটারসহ কিছু যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় যে ভবন সরগরম থাকতো হাজারো নাগরিক সেবা প্রত্যাশী বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, জনপ্রতিনিধি, চসিকের কর্মকর্তা-শ্রমিক-কর্মচারীর পদচারণায় তা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। দরজা, জানালাসহ আউট ফিটিং পণ্যসামগ্রী খুলে ফেলা হয়েছে। শ্রমিকরা কাঠ, লোহা ইত্যাদি আলাদা স্তূপ করছেন। ছয় তলা ভবনের ছাদ ভাঙছে হেমারিং স্ক্যাভেটার। কৌতূহলী লোকজন চেয়ে চেয়ে দেখছেন চিরচেনা ভবনটির শেষ পরিণতি।

ঠিকাদার মঈনুদ্দিন জাবেদ বাংলানিউজকে বলেন, পথচারীসহ দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভাঙার কাজে তাড়াহুড়ো করছি না। আউটফিটিং পণ্যসামগ্রী খোলার কাজ শেষ। ছয় তলার ছাদও ভাঙা হয়ে গেছে। উপর থেকে ভেঙে নিচের দিকে আসছি। আমরা চসিকের কাছে ভাঙার কাজ শেষ করতে কিছুটা সময় দেওয়ার আবেদন করেছি।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নতুন নগর ভবন নির্মাণের দরপত্র হয়ে গেছে। তাহের ব্রাদার্স কার্যাদেশ পেয়েছে। প্রথম ধাপে সাড়ে ২৮ কোটি টাকার কাজ হবে। ধাপে ধাপে পুরো নগর ভবন করা হবে।

তিনি বলেন, আগের নকশাতেই নগর ভবন হবে। এর জন্য পুরোনো ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ যে ঠিকাদার পেয়েছেন তাকে আমরা তাগিদ দিচ্ছি দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। এটি ভাঙা শেষ হলেই নতুন নগর ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালে ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গায় ২০ তলা নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ওই বছরের ১১ মার্চ ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৪ লাখ ৫৬ হাজার ১৯ টাকা। এ লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান করা হলে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স এজে কনস্ট্রাকশনকে একই বছরের ১০ মার্চ কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনের ছয় তলা নির্মাণের কথা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। কিন্তু নানা জটিলতায় নগর ভবনের এ নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এ সময় পাইলিংসহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d