ভারতে গণধর্ষণের শিকার স্প্যানিশ পর্যটক
মোটরসাইকেলে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া স্প্যানিশ এক নারী পর্যটক ভারতের ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরের দুমকা জেলার হাঁসডিহা এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে স্প্যানিশ ওই নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। শনিবার দুমকা জেলার পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের মুখে ভয়ঙ্কর আঘাতের ছবিসহ একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সাথে এমন কিছু ঘটেছে, যা আমরা চাই না অন্য কারো সাথে ঘটুক। সাতজন লোক আমাকে ধর্ষণ করেছে।’
প্রায় পাঁচ বছর ধরে ৬৩টি দেশ এবং ১ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করেছেন তারা। স্পেন থেকে স্বামীকে নিয়ে এশিয়ায় ঘুরতে বেরিয়েছেন ওই দম্পতি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ঘুরে ভারতের ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলায় যান তারা। ওই দম্পতি অস্থায়ী তাঁবু টানিয়ে রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর পর সাতজন দুর্বৃত্ত দলবদ্ধ হয়ে ওই নারীকে সংঘবদ্ধভাবে যৌন নির্যাতন করেন।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ তদন্তের স্বার্থে পোস্ট সরানোর অনুরোধ করায় পরে ওই পোস্ট সরিয়ে ফেলেন ভুক্তভোগী।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের আঘাতের ছবি শেয়ার করে ভুক্তভোগী লিখেছেন, ‘আমার চেহারার আঘাতগুলো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে না। আমি ভেবেছিলাম, আমরা মারা যাচ্ছি। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে, আমরা বেঁচে আছি।’
এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুমকা জেলা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআইকে ঝাড়মুণ্ডির সাব-ডিভিশনাল পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে।’’
পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী নারীর বর্তমানে দুমকার ফুলো ঝানো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এই ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।