দেশজুড়ে

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সাড়ে ১৪ কেজি স্বর্ণসহ আটক ১

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে সাড়ে ১৪ কেজি স্বর্ণসহ মথুর দাস নামের এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ও দুটি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়ার স্বর্ণের ওজন প্রায় ৪ দশমিক ৭ কেজি। যারা ভারতীয় বাজারমূল্য ৩ দশমিক ৩ কোটি রুপির বেশি।

বিএসএফের তথ্যমতে, উদ্ধার করা স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল।

শনিবার (৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ জুলাই), সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিএসএফের ৮ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গে নদিয়া জেলা থেকে এ স্বর্ণ জব্দ করেছেন। ওই জেলার বর্ডার ফাঁড়ির পুট্টিখালীর দায়িত্বরত বাহিনী সদস্যরা মথুরাপুর গ্রামে আচমকা তল্লাশি চালান। তারা লক্ষ্য করেন, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি ঠাকুরী গ্রাম থেকে একটি স্কুটিতে করে মথুরাপুর গ্রামের দিকে আসছে। পথেই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে আনা হয়। তল্লাশি চালিয়ে স্কুটির সিটের নিচে রাখা প্যাকেট থেকে ২০টি স্বর্ণের বার ও দুটি সোনার ইট উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে ৪ দশমিক ৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিএসএফ।

আটক মথুর দাস পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে, মথুর স্বীকার করেছেন, এত বড় স্বর্ণের চালান তিনি বনগাঁয় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন এ কাজ করে ভালো অর্থ উপার্জন করেছেন বলেও জিজ্ঞসাবাদে স্বীকার করেছেন মথুর। আটক ব্যক্তি এবং উদ্ধার করা স্বর্ণ পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার জন্য রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) কলকাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে ৪ জুলাই একই জেলা থেকে বিএসএফের ৬৮ ব্যাটালিয়ন এবং ডিআরআই তল্লাশি চালিয়ে ৬ দশমিক ৮৬ কোটি রুপি মূল্যের, ৯ দশমিক ৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছিল। ওদিনসাত চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মূল চোরাকারকারির রফিক মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে লাল, রবি, প্রদীপ, দাউদ, সীমান্ত ও বিট্টুকে গ্রেপ্তার করে বিএসএফ। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন সবাই নদিয়া (পশ্চিমবঙ্গ) জেলার বাসিন্দা। সেসব স্বর্ণও বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল বিএসএফ। সব মিলিয়ে গত দু’দিনে ১৪ দশমিক ৩ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে বিএসএফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d