ভারত সিরিজে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ
টেস্টে বাংলাদেশের ওপর বরাবরই দাপট দেখিয়ে এসেছে ভারত। ১৩ ম্যাচের সবকটিতেই অপরাজিত তারা।
সামনেই অপেক্ষা করছে আরও একটি সিরিজে। তবে এই সিরিজে আগের চেয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলবে বাংলাদেশ। দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে এমনটাই জানিয়ে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে ইতিহাস গড়েছে টাইগাররা। তাই সেই সিরিজ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ভারতের বিপক্ষে দারুণ কিছু করে দেখানোর আশ্বাস দিয়েছেন শান্ত।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা একটা চ্যালেঞ্জিং সিরিজ হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে একটা ভালো সিরিজ পার হওয়ার পর দলের মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস আছে, এমনকি পুরো দেশের মানুষের মধ্যেই আছে। প্রতিটি সিরিজ একটা সুযোগ, আমরা দুটি ম্যাচই জেতার জন্য খেলব। জেতার জন্য যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ, প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ…আমাদের লক্ষ্য থাকবে কাজটা আমরা ঠিকঠাক করতে পারছি কি না। আমাদের কাজ ঠিকমতো করতে পারলে ভালো ফল সম্ভব, তবে চ্যালেঞ্জিং। ’
‘র্যাঙ্কিংয়েও যদি দেখেন, ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে সম্প্রতি আমরা ভালো একটা সিরিজ পার করে এসেছি। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, পাঁচ দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, ফলটা শেষ সেশনে গিয়েই হয়। পাঁচ দিন ভালো খেললে শেষ সেশনে সুযোগ থাকে কোন দল জিতবে। গুরুত্বপূর্ণ হলো পাঁচটা দিন কীভাবে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটার জন্য কী পরিকল্পনা করা দরকার, সেটা। ’
পাকিস্তান সিরিজে বোলিং অ্যাটাকের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। সেটা পেস হোক কিংবা স্পিন। ভারত সিরিজের প্রথম টেস্টটি অনুষ্ঠিত হবে চেন্নাইয়ে। যেখানে সাধারণত স্পিনাররাই বেশি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শান্ত বলেন, ‘শুধু স্পিনারদের যে দায়িত্ব, তা নয়। ব্যবধান তখনই গড়া সম্ভব হবে, যখন দল হিসেবে খেলব। ব্যাটসম্যান ও পেস বোলারদেরও সমান দায়িত্ব আছে। পুরো দল হিসেবে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ, দল হিসেবে খেলতে পারলেই ভালো ক্রিকেট খেলব। ’
‘প্রতিপক্ষ দল কী চিন্তা করছে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমাদের স্পিন ও পেস বিভাগ ভালো একটা অবস্থানে আছে। তবে ওই দলের সঙ্গে তুলনা করলে অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পেসাররা কিছুটা পিছিয়ে। ’
অভিজ্ঞতায় ভারতকে এগিয়ে রাখলেও শান্ত এখনই হাল ছেড়ে দিতে নারাজ। বরং ইতিহাস গড়ারই সুযোগ দেখছেন তিনি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘স্কিলের দিক থেকে হয়তো কাছাকাছি আছি, তবে অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওই দলটাকে এগিয়েই রাখব। (আমাদের) স্পিনারদের ভালো অভিজ্ঞতা, যেকোনো কন্ডিশনে বোলিং করার সামর্থ্য আছে। এতটুকু বলতে পারি পেসার, স্পিনাররা যারাই খেলবে, প্রত্যেক খেলোয়াড় শতভাগ দেবে। আমি বিশ্বাস করি পাঁচ দিন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে। ’
‘এটা একটা সুযোগ। প্রত্যেকে ম্যাচ জেতার জন্য খেলব। সুযোগ থাকবে জেতার। কিন্তু যেটা বললাম, আগে এত লম্বা চিন্তা না করে শক্তি অনুযায়ী যেন ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি পাঁচ দিন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। ’