ভিনি-চুয়ামেনির গোলে জিতে শীর্ষে রিয়াল
এবারের লা লিগার শীর্ষস্থান নিয়ে জিরোনার সঙ্গে কাড়াকাড়ি চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। সেই লড়াইয়ে আপাতত এগিয়ে গেল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। যদিও জয় পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাদের।
লাস পালমাসকে তাদের ঘরের মাঠ গ্রান কানারিয়ায় আজ ২-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরাই। তবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপর শেষদিকে জয় নিশ্চিত করা গোল করেন ফরাসি মিডফিল্ডার ওরেলিয়াঁ চুয়ামেনি।
২১ ম্যাচে ১৭ জয়ে রিয়ালের সংগ্রহ এখন ৫৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট দুইয়ে থাকা জিরোনার। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে একপ্রকার গোল মিসের মহড়া চালিয়েছে রিয়াল। বিশেষ করে ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের অনুপস্থিতি ভালো ভুগিয়েছে তাদের। ভিনিসিয়ুস একা বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন বল জালে জড়ানোর। কিন্তু সাফল্য ধরা দিচ্ছিল না। লাস পালমাস এই অর্ধে জাল অক্ষত রাখার তৃপ্তি নিয়েই বিরতিতে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল আক্রমণাত্মক ফুটবলে দ্রুত গোল আদায় করে নেবে, এমনটাই হয়তো আশা ছিল সমর্থকদের। কিন্তু ঘটে ঠিক উল্টোটা। ৫৩তম মিনিটে স্রোতের বিপরীতে গোল আদায় করে নেয় লাস পালমাস। সান্দ্রো রামিরেজ ডান দিক থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে বক্সের দিকে নিচু ক্রস দেন। যা থেকে গোল আদায় করেন হাভিয়ের মুনোজ।
তবে এগিয়ে থাকার স্বস্তি দীর্ঘায়িত হয়নি স্বাগতিকদের। কারণ বহু চেষ্টার পর ৬৫তম মিনিটে লক্ষ্যের খোঁজ পান ভিনিসিয়ুস। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাসে ৮ ম্যাচে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজের নবম গোল আদায় করেন। সমতার পর স্বাভাবিকভাবেই রিয়ালের খেলায় গতি ফিরে আসে। মুহুর্মুহু আক্রমণ শানায় তারা।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয় ৮৪তম মিনিট পর্যন্ত, যখন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের সেট-পিসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে পাঠান বদলি হিসেবে নামা চুয়ামেনি। বাকি সময় আর কোনো বিপদ হতে দেয়নি রিয়াল।