ভুয়া বিল-ভাউচারে কোটি টাকা আত্মসাৎ, ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ভুয়া বিল-ভাউচারে ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দফতর (এফএঅ্যান্ডসিএও) কার্যালয়ে। এ টাকা রেলওয়ের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুয়া বিলে কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে ঘিরে পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রেলওয়ের সাত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা মো. সাইদুর রহমান সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাজেট ও খরচের হিসাব রিকনসিলেয়েশনকালে দেখা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর মেসার্স দি কসমোপলিটন করপোরেশন ঢাকার নামে তাদের চারটি বিলের অতিরিক্ত ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার একটি সন্দেহজনক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। যা গুরুতর আর্থিক অনিয়মের পর্যায়ভুক্ত। উক্ত বিল পাস ও চেকের মাধ্যমে পরিশোধের সঙ্গে নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বহিষ্কার হওয়া সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন- রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাব কর্মকর্তা মামুন হোসেন, হিসাব কর্মকর্তা মো. আবু নাছের, হিসাবরক্ষক শিমুল বেগম, হিসাবরক্ষক সৈয়দ সাইফুর রহমান, অডিটর ডিএফএ পবন কুমার পালিত, জুনিয়র অডিটর ইকবাল মো. রেজাউল করিম ও অফিস সহায়ক মাকসুদুর রহমান।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুয়া বিলে ৯৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে পূর্বাঞ্চল রেলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে প্রধান করা হয় চট্টগ্রামের বিভাগীয় হিসাব কর্মকর্তা (ডিএফএ) জয়শ্রী মজুমদার রশ্মিকে। কমিটির বাকি তিন সদস্যরা হলেন- ডিএফএ সদর সুগ্রিব চাকমা, হিসাব কর্মকর্তা (ব্যয়) মো. জহিরুল ইসলাম ও অ্যাকাউন্টেন্ট আরসি মো. আব্দুল্লাহ আল আসিফ। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।