কক্সবাজারচট্টগ্রাম

মহেশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ, চরম ঝুঁকিতে উপকূলীয় এলাকা

ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রভাব পড়া শুরু করেছে কক্সবাজারে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সাথে উপজেলাজুড়ে রয়েছে ধমকা হাওয়া। উত্তাল সমুদ্র। বেড়েছে সাগরের পানির উচ্চতা।

রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তাজবীর হোসেন উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে নিজে মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রচার চালাচ্ছেন এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নিচ্ছেন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কক্সবাজার থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছে। সোমবার রাত বা ভোরে এটি কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবৎ রয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।মহেশখালীতে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাদের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোকজনকে ইতোমধ্যে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও কুতুবজোমসহ মহেশখালীতে অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। শনিবার দুপুরের পর থেকে তাদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে, সাগর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত ধলঘাটা দ্বীপের মানুষ অজানা শঙ্কায় ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে যানবাহন সংকটে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে থাকা লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ সব লোকজনকে সরিয়ে আনার কথার জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান আহছজন উল্লাহ বাচ্চু জানিয়েছেন, ধলঘাটা পুরো ইউনিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। তার মধ্যে অতি ঝুঁকিতে লোকজনকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d