মহেশখালী দ্বীপে বিদ্যুতের টমটম চলছে, সুযোগে বেশি ভাড়া নিচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা
ঘুর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের পর থেকেই বিদ্যুৎ নেই কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে। চলছে না বিদ্যুতচালিত টমটম গাড়ি। এ সুযোগে ৩ গুণ ভাড়া আদায় করছে সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়িগুলো। পরে ২৯ অক্টোবর বিকেলে পরিবহন নেতাদের সাথে বৈঠক করে বাড়তি ভাড়া আদায় না করতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিকি মারমা।কিন্তু সে আদেশ বড়ই কাগুজে ফলে বাড়তি ভাড়া আদায় করা বন্ধ হয়নি। দুর্গত মানুষের ভোগান্তিতে নীরব ভূমিকায় প্রশাসন।
জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর রাতে ঘর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত মহেশখালী দ্বীপে ২৫ অক্টোবর সারাদিন যান চলাচল বন্ধ ছিল। সড়কের উপর থেকে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে ২৬ অক্টোবর শুধুমাত্র বদরখালি-গোরকঘাটা প্রধান সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়৷ কিন্তু দুর্যোগকালীন এই সময় সিএনজি চালকরা তিনগুণ ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সড়কে চলা কিছু টমটম গাড়িও গলাকাটা ভাড়া নিয়েছে দুর্গত মানুষদের কাছ থেকে।
সিএনজি যাত্রী মিজান, রফিক, হাসান বলেন, বদরখালী থেকে গোরকঘাটা বাজারের পূর্বের ভাড়া ছিল ১০০ টাকা। এখন ভাড়া নিচ্ছে ১৫০ টাকা করে। এখন রোজগার না থাকায় ভাড়া পরিশোধে কষ্ট হচ্ছে।
মনির, শাহজান, বিশাল বলেন, দিনে বাড়তি ভাড়া নেয়ার পরেও সন্ধ্যার পর তা আরো বাড়িয়ে দেয়া হয়। চার কিলোমিটার দুরত্বের পথে সিএনজি ভাড়া নেয়া হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, নতুন বাজার থেকে গোরকঘাটা বাজার জনপ্রতি ভাড়া ১০ টাকা হলেও ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ভাড়া নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ২০ টাকা করে, রাতে নেওয়া হয় ৩০ টাকা করে। কালারমারছড়া বাজার থেকে বদরখালি বাজার পর্যন্ত জনপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে। এছাড়াও গ্রামের প্রত্যেক সড়কে দুই থেকে ৩ গুণ ভাড়া বাড়িয়েছে চালকরা।
মহেশখালী নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ সাকিব বলেন, দুর্গত মানুষদের কাছে সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানোর বদলে তাদেরকে উল্টো লুটপাট করা হচ্ছে। আর জনপ্রশাসন থেকেও কোন ব্যবস্থা নেয় নি।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিকি মারমা বলেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, অভিযানে গেলে তার প্রমাণ মিলবে, এ নিয়ে অভিযান চালানো হবে কি না সিভয়েস প্রতিনিধির এমন প্রশ্নে জানতে চাইলে মিকি মারমা বলেন— তিনি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন।