মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে পাথরঘাটায় মানববন্ধন
বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বরগুনার পাথরঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য মার্কেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পৌরসভার গোল চত্বরে এসে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সকল মৎস্যজীবীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুসের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে বরগুনা জেলা মৎসজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ ও মেশিনারি মালিক সমিতি, বিএফডিসি আড়তদার মালিক সমিতি, পাইকার সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়ন সহ মৎস্যজীবী ৬ সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক মৎসজীবীরা অংশ নেন।
এ সময় বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক মাসুম আকন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক, সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম, বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অবরোধ কর্মসূচি বা নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় ২০১৫ সালে। শুরুতে শুধু ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রলার এর আওতাভুক্ত থাকলে ২০১৯ সালে ৬৫ দিনের অবরোধকে উপকূলীয় অঞ্চলের মাছ ধরা সকল ধরনের নৌযানকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। এর প্রতিবাদে জেলেরা বারবার আন্দোলন, মানববন্ধন করলেও নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে।
বক্তারা আরও বলেন, ভারতকে খুশি করতে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের উপর ৬৫ দিনের অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবরোধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের জেলেরা মাছ শিকার থেকে বিরত থাকে কিন্তু ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ইলিশ সহ সকল ধরনের মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এদিকে বছরে ৫ মাস ইলিশ মাছের মৌসুম থাকলেও এর মধ্যে ৬৫ দিন থাকে নিষেধাজ্ঞা এবং ২ মাস আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে মাছ শিকারে যেতে পারেনা। বাকি থাকে মাত্র এক থেকে দেড় মাস। এই অল্প সময় মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা লোকসানে পড়ছে। ধ্বংস হচ্ছে জেলে পেশা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলে পেশার সাথে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা বন্ধ না করলে জেলে পেশা ধ্বংস হয়ে যাবে। অতি দ্রুত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।