শিক্ষা

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের উদ্যোগে সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ‘মেন্টাল ওয়েল-বিইং অ্যান্ড পাবলিক হেলথ কোয়েস্ট ফর এ হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুলিয়া ক্যাম্পাসের সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওসমান গনি, এমআইইউ-এর কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ও এমআইইউ-এর সেন্টার ফর জেনারেল এডুকেশনের পরিচালক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও সেমিনারের গেস্ট অব অনার ছিলেন সুফি স্পিরিচুয়াল ফাউন্ডেশনের মান্যবর চেয়ারম্যান খাজা ওসমান ফারুকী খাজা‘জী।

আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে ‘মেন্টাল ওয়েল-বিইং অ্যান্ড পাবলিক হেলথ কোয়েস্ট ফর এ হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ’ এর ওপর আলোচনা করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চাইল্ড অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

আইন বিভাগের শিক্ষক শাহরিয়ার বিন ওয়ারেছ সঞ্চালিত সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর খান বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক চাপ, প্রতিকার ও প্রতিরোধে নিয়ম মেনে খাওয়া, ঘুম থেকে জাগা বা বিছানায় যেতে হবে। এছাড়াও মানসিকভাবে ভালো থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি নিজেকে ও পরিবেশকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে।

সেমিনারে প্রধান আলোচক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের মানসিক রোগ নিরাময়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে দৈনন্দিন জীবনে একজন মানুষ হিসেবে, একজন শিক্ষার্থী হিসেবে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এ নিয়ে আলোচনা করেন।

মানুষের মানসিক চাপ এবং মানসিক অসুস্থতার ফলে তার সাথে সমান্তরালে বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগ, হতাশা, অত্যধিক বাধ্যতামূলক ব্যাধি (OCD) ও আত্মহত্যা।

সমাপনী বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা ওসমান ফারুকী খাজা’জী বলেন, আমরা একটা মহাসংকটে আছি। তাই, এখন জরুরি প্রয়োজন উপশমকে চিহ্নিতকরণের মাধমেই শুধু নয়, তার সাথে চরম উদ্বেগ, অশান্তি, অসুখ এবং যে হতাশা দেখা দিচ্ছে তার উৎপত্তির কারণ ভারসাম্যহীন, আধ্যাত্মিক সংযোগহীবিহীন পাশ্চাত্যের জীবন যাপনের দায়; যা এখন সারা পৃথিবীব্যাপী চলমান।

এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার এবং আত্মিক বোধকে জাগ্রত ও বিকশিত করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো আধ্যাত্মিকতা। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত সুফি মেডিটেশন এবং ধর্মীয় আচরণবিধি মেনে চলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d