মারাকানার সেই মারামারিতে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনাকে জরিমানা
মারাকানায় গত বছর ২১ নভেম্বর ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। নিকোলাস ওতামেন্দির গোলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ১-০ ব্যবধানে ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ‘সুপার ক্লাসিকো’ সংঘাতেও রূপ নিয়েছিল।
আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দিতে শুরু করলে দাঙ্গা বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রাজিলের পুলিশ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। আর্জেন্টাইনরাও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারির চেয়ার ছুড়ে মারেন। মারাকানায় নজিরবিহীন এ সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হন।
সেদিনের ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছিল ফিফা। বেশ কয়েকটি বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ব্রাজিলের দায় প্রমাণিত হলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলটির পয়েন্ট কর্তন, আর্থিক জরিমানা অথবা ফাঁকা গ্যালারির সামনে খেলার শাস্তি হতে পারে। আর্জেন্টিনা দোষী সাবস্ত্য হলে তাদের করা হবে জরিমানা। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত রাতে এসেছে শাস্তির ঘোষণা। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দেশের ফেডারেশনকেই জরিমানা করেছে ফিফা।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনকে (সিবিএফ) ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশি শাস্তি হয়েছে ব্রাজিলের। আর আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে স্টেডিয়ামে এবং তার আশপাশে শৃঙ্খলার ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে ফিফা। ফলে তাদের অপেক্ষাকৃত কম জরিমানা করা হয়েছে।
তবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের অন্য দুই ম্যাচে আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা ইকুয়েডর ও উরুগুয়ের সমর্থকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করায় এএফএকে আরও ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (৬৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা) জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এই অর্থ বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা প্রকল্পে ব্যয়ের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আপাতত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। এএফএর জরিমানার টাকা পাওয়ার পর শিক্ষার কার্যক্রম আগামী ছয় মাসের মধ্যে সক্রিয় করা হবে।