মালয়েশিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩
মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তানের জালান পেকান-কুয়ান্টানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ ৩ বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার পাহাং কন্টিনজেন্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে (আইপিকে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বার্নামা ও স্টার অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১১ মার্চ) মধ্যরাতে মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যের কুয়ান্তানের জালান পেকান-কুয়ান্তানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিদেশি ডাকাত নিহত হয়। এদের মধ্যে রয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। নিহতরা দেশটিতে বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সেন্ট্রো গ্যাং-এর সদস্য বলে সন্দেহ পুলিশের।
নিহতদের মধ্যে দুজন ভিয়েতনামের নাগরিক বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। তাদের আনুমানিক বয়স ৩৪ থেকে ৪৪ বছর। আরেকজন বাংলাদেশের নাগরিক, যার বয়স ৩৮। তবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
ভিয়েতনামের দুই নাগরিক ভ্রমণ ভিসায় মালয়েশিয়া এসেছেন মর্মে নথিপত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি নাগরিকের কাছে মালয়েশিয়ান ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিলো। গাড়িটি তার নামেই রেজিস্ট্রেশন করা ছিল বলে জানিয়েছেন পাহাং ইয়াহইয়া ওথমান।
গত বছরের জুন থেকে সক্রিয় ছিল উল্লেখ করে পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহইয়া ওথমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সপ্তাহান্তে এবং সরকারি ছুটির দিনে যখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত বন্ধ থাকে তখন তারা সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিরক্ষা ভেঙে প্রবেশ করে।
ইয়াহইয়া বলেন, আমরা দুটি গ্রাইন্ডার মেশিন, দুটি ড্রিল, দুটি প্যারাং, একটি কর্ডলেস ড্রিল সহ একটি বাক্স, একটি ক্রোবার, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার, গ্লাভস এবং একটি টুল ব্যাগ পেয়েছি। দুটি সেট ভুয়া গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্লেট উদ্ধার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহইয়া ওথমান বলেছেন, সেলাঙ্গর এবং পাহাং অপরাধ তদন্ত বিভাগের সদস্যদের একটি দল সোমবার যৌথ অভিযানে নামে। সে সময় সন্দেহভাজন গাড়িটি পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়িটি তল্লাশি করতে গেলে সন্দেহভাজনরা তাদেরকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালালে তারা নিহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে প্রোটন ওয়াজা টাইপের গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল জব্দ করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত আরও কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুটি ম্যাচেট ব্লেড রয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা পেকান এলাকায় অপরাধ করার পরিকল্পনা করছিল বলে ধারণা করেছে পুলিশ।