মাশরুম চাষ : চার মাসে লক্ষাধিক টাকা আয়
অনেকটা শখের বসে মাশরুম চাষ শুরু করেছিলেন কাপ্তাইয়ের অনিল মারমা। তবে ভালোই সফলতা পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি বেশ স্বাবলম্বী এক মাশরুম চাষী। নিয়মিতই চাষ করছেন। জেলার বাইরে থেকে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও দক্ষ হয়ে বাড়ির পাশে শেড বানিয়ে চাষ পরিধি বাড়িয়েছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পাওয়ায় বেড়েছে এই উদ্যোক্তার আয়ও। পাশাপাশি স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতিদের মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ ও দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, প্রায় তিন বছর পূর্বে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়িস্থ নিজবাড়িতে মাশরুম চাষ শুরু করেন অনিল মারমা। বিশেষ করে অবসর সময়টি মাশরুম চাষের পরিকল্পনা করেই তিনি কাজটা শুরু করেন। পরবর্তীতে সফলতা পাওয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যান তিনি।
অনিল মারমা জানান, বর্তমানে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন তিনি। কিন্তু লেখাপড়ার পাশাপাশি মাশরুম চাষে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে তাঁর। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে মাশরুম চাষ করলেও গত চার মাসে তার উৎপাদন হয়েছে তার প্রায় ৩ শ’ কেজি। এই মাশরুম রাঙামাটিসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে তার।
এরই মধ্যে মাগুরা জেলার ড্রিম মাশরুম সেন্টার থেকে এ বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তিনি। যেখানে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক বাবুল আক্তার দিক নির্দেশনা দেন তাকে। পরে নিজ বাড়ির পাশে ১ হাজার মাশরুম চাষের খড়ের সিলিন্ডার ধারণক্ষমতা একটি শেড বানিয়ে চাষ করেন অনিল। এতে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এদিকে জানা গেছে, অনিল মারমা কেবল মাশরুম চাষ করে বসে নেই। এর পাশাপাশি তিনি ৩য় প্রজন্মের ধানের মাদার উৎপাদনের কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে কাজ করার সুযোগ পাবে তার এলাকার বেকার যুব-মহিলারা।
এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান আহামেদ জানান, বর্তমানে দেশে-বিদেশে মাশরুম চাষ দিনদিন অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। অনিল মারমার মতো যদি অন্যরাও এই মাশরুম চাষে এগিয়ে আসেন, তবে অনেকেই স্বাবলম্বী হতে পারবেন, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবে। কেননা মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশে এবং তাছাড়া অন্যান্য কিছুর তুলনায় মাশরুমের কদরটাও অনেক বেশি। আমাদের কৃষি বিভাগ তাকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি এবং তার পাশে থাকবো।