মিধিলির প্রভাবে মীরসরাইয়ের ৩০ শতাংশ এলাকা অন্ধকারে
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে গাছপালা, খুঁটি ভেঙে ও তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বিভিন্ন এলাকা। ইতোমধ্যে জেলার রাউজান, হাটহাজারীসহ অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ লাইন ঠিক হলেও এখনো অন্ধকারে মীরসরাই উপজেলার ৩০ শতাংশ এলাকা।
আগামীকাল সোমবারের মধ্যে এসব এলাকার বিদ্যুৎ লাইন সচল করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, তার, ট্রান্সফরমার। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বিদ্যুৎ লাইন সচল করতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ জেনারেল ম্যানেজার মৃদুল কান্তি চাকমা বলেন, হাটহাজারী ও সীতাকুণ্ড এলাকার যে সব স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল তা ঠিক করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অন্যান্য এলাকায় কাজ চলছে। সোমবারের মধ্যে মীরসরাইয়েও বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ট্রান্সফরমার ভেঙে গেছে, খুঁটি হেলে পড়েছে আবার কোনো কোনো জায়গায় ভেঙে পড়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ লাইন ঠিক করতে একটু সময় লাগছে।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মীরসরাই) সাইফুল আহমদ বলেন, আমাদের ১২টি খুঁটি ও ১৬টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ এলাকায় কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সোমবারের মধ্যে অন্যান্য এলাকায়ও কাজ শেষ হবে।
তবে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, আমাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ থাকলেও দীর্ঘ সময় ধরে কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল না।
চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে এইচটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে ২২টি, এলটি খুঁটি ভেঙেছে ৩৬টি, এইচটি তার ছিড়েছে ১৫৯ স্পটে, এলটি তার ছিড়েছে ১৮৮ স্পটে। এছাড়াও ১৫৮টি বিদ্যুতের মিটার, ক্রস আর্ম ১৫১টি ও ইন্সুলেটর ভেঙেছে ৯৩টি। নষ্ট হয়েছে ২৬টি ট্রান্সফরমার ও হেলে পড়েছে ৩২টি পোল।
এদিকে, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে উপজেলার ইছাখালী, কাটাছড়া, সাহেরখালী, দুর্গাপুর, মায়ানী, ওয়াহেদপুর, জোরারগঞ্জ, ওচমানপুর ইউনিয়নে তিনদিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বড় বড় গাছ পড়ে যাওয়া, খুঁটি ভেঙে পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ফলে তিন দিন ধরে অন্ধকারে উপজেলার বেশিরভাগ এলাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা।