মিয়ানমারে গোলাগুলির আতঙ্ক নাইক্ষ্যংছড়িতে
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু শূন্যরেখায় আবারও গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ও গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে থেমে থেমে অন্তত ২৩ বার বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু লাগোয়া রাইট ক্যাম্প এলাকা থেকে এ বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। তবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গোলাগুলি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের এপারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও রোমেন শর্মা বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তে রাখাইনে গোলাগুলির খবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে আমাদের সীমান্ত বাহিনী কাজ করছে। তবে সীমান্তে বসবাসকারীদের আতঙ্কিত না হতে বলা হচ্ছে। তবে স্থানীয়রা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন স্বাভাবিকভাবে।’
সীমান্ত লাগোয়া নয়াপাড়া, জলপাইতলী, পশ্চিমকূল, বাজারপাড়া, কোনারপাড়া, মধ্যমপাড়া, উত্তরপাড়া, ভাজাবনিয়া, হেডম্যানপাড়া, বাইশপাড়ী, গর্জন বনিয়া পাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে সরেজমিনে আলাপ করে এই প্রতিনিধি জানতে পেরেছেন, গুলির শব্দ বা বিস্ফোরণে এখন আর ভয় লাগে না তাদের। তবে বিকট কোনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে এলে সীমান্ত প্রকম্পিত হওয়ার কারণে আতঙ্কে থাকেন স্থানীয়রা।’
স্থানীয় সরোয়ার কামাল ও নূরুল আবছার জানান, গতকাল (বুধবার) দুপুরে সীমান্ত পিলার ৩৮, ৩৯-এ, রাত আটটার দিকে ৩৫ পিলার উত্তর-দক্ষিণ মিয়ানমারের ভেতর থেকে প্রায় ২৩টিরও বেশি ও রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৩৩-৩৪ পিলার রাইট মিয়ানমার অভ্যন্তরে ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শুনেছেন।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে যখন বিকট কোনো বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে, তখন এপারের বাসিন্দাদের কিছুটা ভয় কাজ করে। এদিকে সীমান্তবর্তী স্থানীয়দের সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য চৌকিদার ও ইউপি সদস্যদের মাধ্যমেও নিষেধ করা হয়েছে।’
কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,‘আতঙ্ক বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। এগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের দায়িত্বরত বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।