চট্টগ্রাম

মীরসরাইয়ে চরাঞ্চলের মহিষের হাট, বাড়ছে চাহিদা

মীরসরাই উপজেলার সমুদ্র উপকূলের বিশাল অংশজুড়ে মহিষের চারণভূমি। চাষাবাদের পাশাপাশি এই চরে পালন করা হয় বিভিন্ন ধরনের গবাদিপশু। চর এবং সমুদ্র উপকূলের খোলা এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠে অসংখ্য মহিষ। দিনে দিনে বাড়ছে মহিষের চাহিদা। আর সেই মহিষ নিয়ে উপজেলার মিঠানালা এলাকায় এবার বসেছে কোরবানির হাট।

জানা গেছে, কোরবানিতে মহিষের বাড়তি চাহিদার কথা বিবেচনা করে মিঠানালা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ আলী পোল এলাকায় বসানো হয়েছে এই হাট। যেখানে ছোট, বড় মাঝারি সব ধরনের মহিষ পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে লালনপালন করায় এই এলাকার মহিষের চাহিদা পুরো চট্টগ্রামজুড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর আমাদের এই এলাকা থেকে অসংখ্য মহিষ বিক্রি হয়। কিন্তু হাট না থাকায় যেমন বিক্রিতে সমস্যা হয়, ক্রেতারাও বাড়তি ঝামেলায় পড়েন। তাই এবার আমরা হাটের ব্যবস্থা করেছি। এখানে ১ লাখ টাকার কম কিংবা ২ লাখ টাকার উপরেও মহিষ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, খোলা চরে মহিষগুলো বছরের পর বছর চষে বেড়ায়। চাষিরা কৃষিকাজের পাশাপাশি এসব মহিষ পালন করেন। তাই এসব মহিষের মাংস বেশ সুস্বাদু হয়।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা স্থানীয়দের মহিষ নিয়ে এই হাটের আয়োজন করেছি। এখান থেকে যে কেউ চাইলে চাহিদা মতো মহিষ ক্রয় করতে পারবেন।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু ও ছাগলের পাশাপাশি মহিষের চাহিদা বেড়েছে। কোরবানিদাতাদের চাহিদার তালিকায় গরুর চেয়ে মহিষের চাহিদা অনেকটাই বেশি। কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরুর মাংসের চেয়ে মহিষের মাংসে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কম। এছাড়া গরুর মাংসের তুলনায় মহিষের মাংসে চর্বি কম হওয়ায় তা স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই আগের চেয়ে মহিষের মাংসের চাহিদা বেড়েছে মানুষের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d