মীরসরাইয়ে ডাল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
মীরসরাইয়ের তিন ইউনিয়ন ইছাখালী, সাহেরখালী ও মঘাদিয়া। যেখানে সবচেয়ে বেশি ডাল চাষ হচ্ছে। এ তিন ইউনিয়নের চরের জমিগুলোর যেদিকে চোখ যায় শুধু ডাল আল ডাল।
কোথাও ফেলন, কোথাও মুগ আবার কোথাও খেসারি ডালের চারাগুলো বাতাসে দুলছে। কষ্টের ফসলের ভালো ফলন দেখে দিনদিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ডাল চাষে।
কৃষকরা বলছেন, মীরসরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে ডাল চাষ হতো। পরে লাভজনক হওয়ায় এখন বিভিন্ন ইউনিয়নে চাষ হচ্ছে। হরেক রকম ডাল চাষ করছেন কৃষকেরা। প্রতি বছর ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন চাষের পরিধি বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে মুগ, ফেলন, মশুর ও খেসারি চাষ করা হয়েছে। ২৮৫০ হেক্টর জমিতে মুগ, ২৬০০ হেক্টর জমিতে ফেলন, ৭২০ হেক্টর জমিতে খেসারি ও ৪০ হেক্টর জমিতে মশুর ডাল চাষ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই ফসলি জমির ফসল কাটার পর খালি পড়ে থাকে। সেই খালি জমিতে বিভিন্ন ডাল চাষ করা হয়। স্থানীয় বাজারগুলোতে ডালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় এ ডাল। বিস্তীর্ণ জমিতে মুগ ডালসহ বিভিন্ন রকম ডাল চাষ করছেন কৃষকেরা। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকেরা ফলন তুলতে শুরু করেছেন।
সাহেরখালী ইউনিয়নের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, অন্য ফসলের পাশাপাশি এ সময়ে বিভিন্ন রকম ডাল চাষ করি। প্রতি বছরই ঘরের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করি।
উপজেলার বড় দারোগাহাট, আবুতোরাব, মিঠাছড়া, আবুরহাট বাজারে মুগ ডালের বড় বাজার বসে। দিনদিন এ বাজারের পরিধি বাড়ছে। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে কিনে নিয়ে যান ডাল।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, মীরসরাইয়ে দিন দিন ডাল চাষের পরিধি বাড়ছে। চলতি বছর উপজেলায় ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে মুগ, ফেলন, মশুর ও খেসারি ডাল চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হলে এবার ভালো ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছি।