মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপসহীন প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন: সুজনের
চট্টগ্রাম: নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপসহীন সৎ, দায়িত্ববান, সুশিক্ষিত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার করবেন। নির্বাচিত হয়েও চট্টগ্রামের যেসব জনপ্রতিনিধি নিজ এলাকার জনদাবিকে উপেক্ষা করেছেন এবং জনদুর্ভোগ নিরসনে ভূমিকা রাখেননি, এবারের নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখানের আহ্বান জানানা তিনি।
সুজন বলেন, দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু তারপরও নাগরিকদের অনেক সমস্যা-অসুবিধা আছে। দেখা গেছে, অনেকে নির্বাচিত হওয়ার পর আর জনগণের খোঁজখবরই রাখেননি বা সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে সেটা ঠিকভাবে ব্যবহারও করেননি। দেখা যাচ্ছে, এমন অনেকেই আবারও প্রার্থী হয়ে এসে জনগণের কাছে ভোট চাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েও জনগণের জন্য কাজ করেননি, জনদুর্ভোগ নিরসনে ভূমিকা রাখেননি, তাদের যেন সবাই প্রত্যাখান করেন। সৎ, যোগ্য ও ভালো মানুষকে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আমরা নাগরিকরা যাতে কোনো ভুল না করি কিংবা কোনো সস্তা প্রলোভনে যাতে মোহগ্রস্ত না হই। নাগরিকদের কাছে আমাদের উদাত্ত আহ্বান, সন্ত্রাস, সংঘাত, সহিংসতা নয়- নির্বাচন হোক সৎ, যোগ্য ও ভালো নেতৃত্ব নির্বাচনের মহোৎসব।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সকল প্রার্থীর একযোগে ওয়াদা করা উচিত, তারা নির্বাচিত হতে পারলে সম্মিলিতভাবে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নে কাজ করবেন। পতেঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হয়েছে। কিন্তু লাখো জনসাধারণের প্রাণের দাবি একটি মাতৃসদনসহ পূর্ণাঙ্গ সরকারি হাসপাতাল এবং দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের দাবি যুগের পর যুগ উপেক্ষিত হয়ে আছে। কেন শহরের অভ্যন্তরে এত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়েও বন্দর-পতেঙ্গা প্রান্তিক জনপদ হয়ে থাকবে ?
চট্টগ্রামের সবুজ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড নিজেরাও করবেন না, কাউকে প্রশ্রয়ও দেবেন না। নাগরিকদের বলছি- যেসব প্রার্থী আপনাদের কাছে সবুজ চট্টগ্রামকে রক্ষার ওয়াদা করবেন, তাদের গ্রহণ করুন। যারা জনদাবিকে উপেক্ষা করবেন, তাদের প্রত্যাখান করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, মোরশেদ আলম, অনির্বাণ দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু প্রমুখ।