খেলা

মুমিনুলের লড়াইয়ের পরও ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

নাহিদ রানার ক্যাচটা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ধরতেই নিশ্চিত হলো হার। মুমিনুল হক আর পেলেন না নন স্ট্রাইক প্রান্তে ফেরার তাড়না।

শুরুতে চেপে ধরা শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসেই পেয়ে গিয়েছিল দুই সেঞ্চুরি। পরের ইনিংসেও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস ছুঁয়ে ফেলেন তিন অঙ্ক।

এরপর বাংলাদেশের হারটা ছিল অবশ্যম্ভাবী। ৫১১ রান তাড়া করা ভাবনাতেও হয়তো আনেননি কেউ। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধরন প্রশ্ন তুলেছে অনেক। দ্বিতীয় ইনিংসে লড়ছিলেন কেবল মুমিনুল হক। জয়ের জন্য অবশ্যই নয়, সেঞ্চুরি করে তিনি পেতে পারতেন একটা প্রাপ্তি।

কিন্তু শেষ অবধি সেটিও করতে পারেননি তিনি। দুই ইনিংসেই তার সঙ্গীদের বাজে ব্যাটিং অবশ্য আড়াল হয়নি তাতে। আরও একটি হতাশার হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৩২৮ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ২৮০ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

চতুর্থ দিনের সকালটা শুরু হয় আগের দিনের বিষাদকে সঙ্গী করেই। তৃতীয় বলে আউট হন তাইজুল ইসলাম। এদিন কোনো রান করতে পারেননি। ১৫ বলে ৬ রান করে রাজিথার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।

মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন মুমিনুল হক। এ দুজনের জুটিতে ১০৫ বলে ৬৬ রান পায় বাংলাদেশ। এ জুটিও ভাঙেন কসুন রাজিথা। ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করার পর ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিরাজ।

মিরাজের বিদায়ের পর মুমিনুলের সঙ্গী হন শরিফুল ইসলাম। তারা দুজন অপরাজিত থেকে লাঞ্চের বিরতি যায় বাংলাদেশ। ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যান মুমিনুল। তার সঙ্গে দারুণ ব্যাট করতে থাকেন শরিফুল ইসলামও। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পার হওয়ার পর এই জুটি ভেঙে যায়।

রাজিথার বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন শরিফুল। ৪২ বল খেলে ১২ রান করেছিলেন তিনি। শরিফুলের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিটি ছিল ৮১ বলে ৪৭ রানের। নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই আউট হয়ে যান খালেদ আহমেদ।

এরপরের অপেক্ষাটা ছিল কেবল মুুমিনুল সেঞ্চুরি করতে পারেন কি না। তিনিও খেলছিলেন একটু তাড়াহুড়ো করে। কিন্তু তার শেষ সঙ্গী নাহিদ ৮ বলের বেশি খেলতে পারেননি। চতুর্থ দিনে এসে বাংলাদেশের ১৮৭ মিনিটের লড়াইও শেষ হয় তাতে।

১২ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসে ১৪৮ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত বল করা কাসুন রাজিথা এবার পেয়ে যান পাঁচ উইকেট। বিশ্ব ফার্নান্দো তিন ও লাহিরু কুমারা পেয়েছেন দুই উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d