মৎস্য উৎপাদন-রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখতে চট্টগ্রাম আসছে ইইউ’র টিম
মৎস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে মান নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন ও রপ্তানি প্রক্রিয়ার ধাপগুলো সরেজমিনে দেখতে আজ (বৃহস্পতিবার) নয়দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ইউরোপের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জাপান, হংকং, অস্ট্রিলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি ও শুঁটকি রপ্তানি হয়ে থাকে। সবশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৩ মেট্রিক টন। যা থেকে রপ্তানি আয় হয় ৫ হাজার ১৯১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ মৎস্য রপ্তানিকে ঘিরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠেছে মৎস্যচাষের খামার, ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার, রপ্তানি প্রসেসিং কারখানা, পরিবহন ব্যবস্থা।
সূত্র আরও জানায়, ইউরোপের দুই সদস্যের টিমের সদস্যরা আজ ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন। পরদিন ৮ ডিসেম্বর তারা কক্সবাজার যাবেন। সেখানে চিংড়ি চাষের হ্যাচারি পরিদর্শনসহ রপ্তানি কার্যক্রম দেখে ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আসবেন। চট্টগ্রামে টিমের সদস্যরা তিনদিন অবস্থান করে মৎস্য আহরণ ভ্যাসেল, ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা পরিদর্শন এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, চট্টগ্রামের কার্যালয় পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সভা করবেন। এরপর টিমের সদস্যরা যশোর, খুলনা গিয়ে মৎস্যচাষসহ রপ্তানি প্রক্রিয়ার সবগুলো দিক পরিদর্শন করবেন। ১৫ ডিসেম্বর তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।