লাইফস্টাইল

যে অভ্যাসের কারণে হতে পারে আপনার চোখের ক্ষতি

প্রতিদিন আপনার ছোটখাটো ভুলেই চোখের বড় ক্ষতি হতে পারে। সে জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন?

কারণ প্রতিদিনের জীবনযাপনেই লুকিয়ে থাকে শরীর ভালো রাখার উপায়।

স্বাস্থ্যকর খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরচর্চা যেমন শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখে, তেমনই বেশ কিছু খারাপ অভ্যাস ও ভুল জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঘুমভাঙা থেকে শুরু করে ঘুমানোর সময় পর্যন্ত সারাক্ষণ কাজ করে চলেছে চোখ। কিন্তু তার কতটা খেয়াল রাখেন আপনি; বরং প্রতিদিন রাতযাপনের বেশ কিছু ভুলে গুরুত্বপূর্ণ এই ইন্দ্রীয়টির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

আপনার বদলে যাওয়া জীবনের নিত্যসঙ্গী হচ্ছে মোবাইল। সকালে ঘুম ভাঙলেই প্রথমেই লোকজন এখন মোবাইলের খোঁজ করেন। সবটাই যে কাজের তাগিদে, তা কিন্তু নয়। আসলে মোবাইলে লুকিয়ে বিনোদনের বিশাল জগৎ।

এক ক্লিকেই ছবি থেকে রিল, ভিডিও, পছন্দের যে কোনো বিষয খুঁজে নেওয়া যায়। মোবাইলের পাশাপাশি বহু মানুষকেই অফিসে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে কাজ করতে হয়। পড়াশোনাতেও জুড়ে গেছে মোবাইল থেকে ল্যাপটপ।

দিনভর কাজের শেষে ক্লান্ত মানুষ বিনোদন খুঁজতে ফের চোখ রাখেন সেই মোবাইলেই। মোবাইল থেকে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ— সারাদিন নানা কাজে পর্দায় চোখ রাখার ফলে চোখের ভীষণ ক্ষতি হয়। তাই কাজের জন্য যতই এসবের ব্যবহার হোক না কেন, দিনের বিভিন্ন সময় চোখকে আরাম দিতে হবে। রাতেও অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ভীষণ জরুরি। এতে চোখ বিশ্রাম পায়।

এ ছাড়া দিনের বেলা রোদে বার হলেও অনেকেই রোদচশমা ব্যবহার করেন না। অনেক মনে করেন, এটা শুধু ফ্যাশনের অঙ্গ। তা বিষয়টি মোটেও নয়। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি যেমন ত্বকের ক্ষতি করে, তেমনই এতে চোখও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ছানিপড়ার সম্ভাবনা বেশি। চোখের চারপাশের নরম ত্বকেরও ক্ষতি হয়। তাই ইউভি রশ্মি প্রতিহত করতে পারে রোদচশমা ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন।

আপনার দেখতে সমস্যা হচ্ছে অথচ কেউ হয়তো তা বুঝতে পারছেন না। চোখ জ্বালা করছে, সামান্য বিষয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন। চোখে ব্যথা, জ্বালাপড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে ওঠা, দেখতে সমস্যা হওয়া— এসব বিষয় এড়িয়ে না গিয়ে চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তা না হলে সামান্য বিষয় থেকেই চোখের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অনেকেই চোখে সমস্যা নেই বলে পরীক্ষা করান না। চোখে যে দেখতে অসুবিধা এমন অনেক শিশুও আছে, যারা বুঝতে পারে না। সে জন্য ছোট থেকে বড়, কোনো সমস্যা না থাকলেও বছরে অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।

আবার অনেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে। রক্তে অনিয়ন্ত্রিত শর্করা, উচ্চ রক্তচাপ চোখের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত যারা অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের রক্তচাপ বাড়তির দিকে, তাদের চোখের ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার। এ ধরনের রোগীদের ছানিপড়ার সম্ভাবনা, গ্লুকোমা, চোখের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d