রাউজানে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, খাল-সড়ক ভেঙে জনদুর্ভোগ চরমে
চট্টগ্রামের রাউজানে তিনদিনের ভারি ও মাঝারি বর্ষণে জলাবদ্ধতায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাউজান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডাবুয়া খাল ভেঙে প্রবল স্রোতে সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া চিকদাইর এলাকায়ও ভেঙেছে খাল। রাউজান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় পানির নিচে তলিয়ে গেছে বহু বসতঘর, রাস্তাঘাট, পোল্ট্রি ফার্ম। মারা গেছে মুরগি, পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে মুরগির খাদ্য। এছাড়া ১০-১২টি পুকুর ডুবে ভেসে গেছে মাছ। তাছাড়া পৌর ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকের বীজতলা।
পাপ্পি চক্রবর্তী নামে স্থানীয় একব্যক্তি বলেন, ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ডাবুয়া খালের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পাঁচশ পরিবার দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগোযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মুরগির খামারি নিরল চন্দ্র দাশ বলেন, আমার খামারে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
অরুন নামে আরেক খামারি বলেন, আমার অনেক মুরগি মারা গেছে, ভেসে গেছে মুরগির খাদ্য। বড় ধরনের লোকসান হয়েছে বলে দাবি তার।
এদিকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ ও রাঙামাটি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা।
পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, ভারি বর্ষণে খাল ভেঙে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা দুর্ভোগে পড়া মানুষের পাশে আছি এবং দুর্ভোগ লাগবে কাজ করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা বলেন, আমরা ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা পরিদর্শন করেছি। আমার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশন চাকমা ছিলেন।