রাফা ক্রসিং থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার চায় মিশর
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের রাফা ক্রসিং দিয়ে ফের তৎপরতা শুরু করার জন্য এর ফিলিস্তিনি পাশ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার চায় মিশর।
রোববার কায়রোতে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিশরের কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে, এই বৈঠকে মিশর নিজেদের দাবিতে অনড় ছিল বলে দেশটির দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
মে মাসে রাফা শহরে আক্রমণ শুরু করার সময় ইসরায়েল এই ক্রসিংটির ফিলিস্তিনি পাশটি দখল করে নেয়, পরে তারা গাজার সঙ্গে মিশরের পুরো সীমান্ত নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এতে ক্ষুব্ধ মিশর এই গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংটিতে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধের হুমকি দেয়।
মিশরের ওই দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ক্রসিংটি ফের চালুর বিষয়ে কোনো চুক্তি না হলেও রোববারের বৈঠকটি ইতিবাচক ছিল।
বৈঠকে মিশরের প্রতিনিধিরা বলেছেন, যদি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ কাজ ফের শুরু করতে রাজি হয় তবে তাদের কার্যক্রম তদারকি করার জন্য সীমান্তটি ইউরোপীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এর জবাবে ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাফা ক্রসিংয়ের কার্যক্রমের বাধাগুলো অপসারণে তারা দ্রুত কাজ করবেন।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করা নিয়ে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, ২৯ মে-তে তারা গাজা-মিশর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া সম্পন্ন করেছে।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলে ইসরায়েল তিন সপ্তাহ আগে রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিলে মিশরের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। পরে রাফা সীমান্তে ইসরায়েল সেনাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে মিশরের এক সেনা নিহত হয়।
মিশর বরাবরই ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হাজারো বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির নিন্দা জানাচ্ছে।
২০০৬ সালে হামাস ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েলের মত মিশরও গাজা সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। তবে হামাসের সঙ্গে যোগাযোগের পথ তারা খোলা রেখেছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
গত সপ্তাহে মিশর কারেম শালোম ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশ সহজতর করেছে, কিন্তু দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার মুখে থাকা ফিলিস্তিনি ছিটমহলটির জন্য রাফা ক্রসিং ফের খুলে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।