রিজার্ভ খেলোয়াড়দের নিয়েই শিরোপা জিতল লিভারপুল
রিজার্ভ দল আর কচিকাঁচা খেলোয়াড়দের নিয়েই পূর্ণশক্তির চেলসিকে হারাল লিভারপুল (লিভারপুল ১ – ০ চেলসি)। লিভারপুলের মূলদলের খেলোয়াড় হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ, ডারউইন নুনিয়েজদের গলায় মেডেল নেই। তবে অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা আট তরুণের গলায় ঝুলছে ইএফএল কাপ জয়ের মেডেল। ইউর্গেন ক্লপ নয় বছর পর অলরেড শিবির ছাড়বেন, কিন্তু তাদের ভবিষ্যত যে ঠিক কতখানি নিরাপদ, তাই যেন ভক্তদের বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন কাপ ফাইনালের ম্যাচে।
ইএফএল কাপের ইতিহাসে এটি লিভারপুলের দশম শিরোপা। এই প্রতিযোগিতায় তারাই সফলতম দল। মূল স্কোয়াডের ৯জন যখন ইনজুরিতে, তখন অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা তরুণরাই ছিলেন লিভারপুলের ভরসা। যদিও ম্যাচটা তারা জিতেছে অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইকের গোলে। অলরেডদের অধিনায়ক যেন সামনে থেকেই দিলেন জয়ের নেতৃত্ব।
ছন্নছাড়া ছিল মাঝমাঠ। ওয়াতারু এন্ডো এবং অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের সঙ্গী হলেন রায়ান গ্রাভেনবাচ। তবে এই ডাচ তারকাও ২৪ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়লেন ইনজুরিতে। পূর্ণশক্তির চেলসি এই সুযোগেই চেপে বসে লিভারপুলের ওপর। প্রথমার্ধে একবার বল জালেও জড়ায় তারা। তবে সেটা ধরা হয়নি অফসাইডের কারণে।
বিপরীতে লিভারপুল যে সুযোগ পায়নি তা না। তবে তাদের আক্রমণের তুলনায় রক্ষণেই সময় দিতে হয়েছে বেশি। বিশেষত আইরিশ গোলরক্ষক কাওমিন ক্যালাহগার ছিলেন অনবদ্য। প্রথমার্ধে কোল পালমারের ক্লোজ রেঞ্জের শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরেই অলরেড ফরোয়ার্ড গাকপোর শট ফিরে আসে বারপোস্ট থেকে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোল না হলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। আর ম্যাচের সেরা সুযোগ এসেছিল এই সময়েই। ১১২ মিনিটে হার্ভি এলিয়টের হেড গোললাইন থেকে ফেরান চেলসির গোলরক্ষক। তবে মিনিট ছয়েক পর আর রক্ষা করা যায়নি। কস্তাস সিমিকাসের কর্ণারে মাথা ছুঁইয়ে লিভারপুলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দেন ভ্যান ডাইক।
শেষ সময়ের ওই এক গোলেই নিশ্চিত হয়েছে লিভারপুলের লিগ কাপের শিরোপা। কুইনশ, ব্র্যাডলি, ক্লার্ক কিংবা ম্যাককনেলরা উপহার দিলেন চেলসির বিপক্ষে আরও একটি ফাইনালের জয়।