রেলের রেয়াত পুনবর্হালের দাবিতে মানববন্ধন
রেলওয়ের যাতায়াতে রেয়াত পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে রেল-নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে সংগঠনটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, গণতন্ত্র মঞ্চের বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. জবিউল হোসেন ও রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য নফিউল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন রেল-নৌ-যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান।
জানা গেছে, রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ছাড় পেতেন যাত্রীরা। কিন্তু দূরত্বভিত্তিক রেয়াতের নতুন নিয়মে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ছাড়ের সুবিধা নেই। রেলপথ ঢাকা থেকে দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে লাকসাম প্রবেশ করলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের বর্তমান দূরত্ব ৩২১ কিমি থেকে ৯০ কিলোমিটার কমবে। অর্থাৎ এই রুটের দৈর্ঘ্য হবে ২৩১ কিলোমিটার। ফলে এই অঞ্চলের যাত্রীদেরও বাড়তি ৯০ কিলোমিটারের ভাড়া দিতে হবে।
একইভাবে রংপুর বিভাগের যাত্রীরা নাটোর-চাটমোহর ঘুরে বাড়ির কাছের সিরাজগঞ্জে ফিরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ওঠেন। সেই কারণে বাড়তি সময় গেলেও সঙ্গে বাড়তি ভাড়াও দিতে হয় না। এখন বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেল লাইন চালু না করে রেলওয়ে সৃষ্ট ঘোরাপথের ১২০ কিলোমিটারের ভাড়ার দায় মেটাতে হবে রংপুর বিভাগের যাত্রীদের। অথচ রাষ্ট্রের চোখে ভাড়া বৃদ্ধির কথা অস্বীকার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পথে স্পেশাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরে ক্ষোভ জানিয়ে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় করে রেললাইন বসালো। তৈরি হলো স্টেশন। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর জন্য চালু হওয়া স্পেশাল ট্রেন পুনরায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রেলপথ রেল বিভাগের সব থেকে লাভবান।