রেলের ৪০টি কোচে আগুন, ক্ষতি ২২ কোটি টাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে সব মিলিয়ে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ক্ষতির পরিমাণ ২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
রেলওয়ের উচ্চপর্যায়ের এক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দপ্তরপ্রধানদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রতিবেদনে বলেছে, দুষ্কৃতকারীরা রেলের এই ক্ষয়ক্ষতি করেছে।
প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী সুশীল কুমার হালদার কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাণিজ্যিক বিভাগের, এরপর যান্ত্রিক বিভাগের।
তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চারটি ট্রেনের ৪০টি কোচ ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি, চট্টলা এক্সপ্রেসের ১৩টি, জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি, পারাবত এক্সপ্রেসের ৮টি ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ২টি বগি ভাঙচুর করা হয়। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের চারটি বগি পুরোপুরি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চট্টলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ও কর্ণফুলী কমিউটারের ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।
রেলওয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়। ১৮ থেকে ২৩ জুলাই বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন চলাচল না করায় যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে। এর পরিমাণ ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের আওতায় ঢাকা বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের যাত্রীদের ফেরত দিতে হবে ৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে বুধবার (২৪ জুলাই) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর চট্টগ্রাম নগরের সিআরবিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।